পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। তার মধ্যে বেশি কমেছে ছাত্রের সংখ্যা। কাল, বুধবার থেকে শুরু হতে চলা মাধ্যমিক পরীক্ষায় বর্ধমান জেলার চিত্রটা এই রকম। নির্বিঘ্নে এই পরীক্ষা শেষ করতে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ, শিক্ষা দফতর ও স্কুলগুলিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
পর্ষদের বর্ধমান আঞ্চলিক কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৬৯৮১ জন। গত বার যা ছিল ৯৩২১১ জন। অর্থাৎ, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৬২৩০। এ বার ছাত্রের সংখ্যা গত বারের থেকে প্রায় চার হাজার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯২৬৬। ছাত্রী ৪৭৭১৫ জন, আগের বারের থেকে যা প্রায় দু’হাজার কম। জেলায় মোট পরীক্ষাকেন্দ্র গত বারের মতোই মোট ২২৪টি। পরীক্ষা শুরু দুপুর ১২টা থেকে। তার আগে ১৫ মিনিট প্রশ্নপত্র পড়ার সুযোগ পাবে পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শেষ বিকেল ৩টেয়।
পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের বর্ধমান জোনের মধ্যে বর্ধমান জেলা ছাড়াও বীরভূম, খাতড়া মহকুমা বাদে বাঁকুড়ার বাকি অংশ এবং হুগলির শ্রীরামপুর পর্যন্ত এলাকা পড়ে। এই জোনে গত বারের চেয়ে পরীক্ষার্থী প্রায় ১৫ হাজার কমে দাঁড়িয়েছে দু’লক্ষ ছ’হাজার ২৪৪ জনে। তার মধ্যে ছাত্র ৯২৫৬১, ছাত্রী ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৬৮৩ জন। গোটা জোনে গত বারের চেয়ে ছাত্রসংখ্যা কমেছে প্রায় ১০ হাজার। সেখানে ছাত্রী কমেছে হাজার পাঁচেক। বর্ধমান জেলায় কেন্দ্র না বাড়লেও গোটা জোনে ১১টি বেড়ে মোট ৫৩৫টিতে পরীক্ষা হবে।
পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকেই প্রতিটিকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের সুবিধের জন্য জেলা জুড়ে অতিরিক্ত বাস চালানো হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রের কাছে যাতে পরীক্ষার্থীদের নামানোর ব্যবস্থা করা হয়, আর্জি জানানো হয়েছে বাস মালিকদের। এলাকায় মাইক বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি, পরীক্ষাকেন্দ্রের কাছে যানবাহনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। অন্য বারের মতোই কেন্দ্রগুলিতে ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল দল ঘুরবে। জেলার সমস্ত সরকারি হাসপাতাল এবং ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে অতিরিক্ত ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
পর্ষদের আঞ্চলিক অধিকর্তা (বর্ধমান) প্রশান্তকুমার আইচ বলেন, ‘‘পরীক্ষার্থীরা যাতে নিশ্চিন্তে পরীক্ষা দিতে পারে সেটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। সে জন্য নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) খগেন্দ্রনাথ রায় জানান, পরীক্ষার দিনগুলিতে সমস্ত স্কুলে ছুটি থাকছে। যে সব স্কুলে পরীক্ষাকেন্দ্র হবে না সেগুলিকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতিতে সেগুলি কাজে আসতে পারে। তিনি বলেন, ‘‘পরীক্ষার সময়ে সমস্ত শিক্ষকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy