ভেঙে পড়ছে ছাউনি। নিজস্ব চিত্র।
তিনটি জেলার মাছ ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ নির্ভর করেন এই বাজারের উপরে। অথচ সামান্য রোদ উঠলে বা বৃষ্টি পড়লে মাথা বাঁচানোয় দায় হয়ে পড়ে এখানে। ক্রেতা-বিক্রেতা, সকলেরই অভিযোগ, কালনা শহরের চকবাজারে ছাউনিগুলি বেহাল। বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ছাউনির টিনের বেশির ভাগ অংশই রোদ-জলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টি-রোদ থেকে বাঁচতে অনেকে মাথার উপরে ত্রিপল টাঙিয়েছেন। ছাউনির নীচের অংশে কংক্রিটের বিমগুলিও নষ্ট হতে বসেছে। কয়েক জন ব্যবসায়ীর বসার জায়গাটিও ভেঙে গিয়েছে। মাছ ব্যবসায়ী কালু দাস বলেন, ‘‘ফি দিন বহু মানুষ এই বাজারে আসেন। কিন্তু ছাউনি বেহাল হওয়ায় সমস্যা বাড়ছে। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ করা দরকার।’’
প্রতিদিন কাক ভোরে বাজারে চলে আসেন বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়ার বিভিন্ন এলাকার ক্রেতা-বিক্রেতারা। পাইকারি ও খুচরো— দু’ভাবেই চলে বিকিকিনি। সকাল ৮টা পর্যন্ত চলে মাছের পাইকারি বাজার। এরপরে খুচরো বিক্রেতারা আড়ত থেকে মাছ কিনে বাজারে তাঁদের নির্ধারিত ছাউনির তলায় বসে পড়েন। ওই একই ছাউনির তলায় ব্যবসা করেন মাংস বিক্রেতারাও। সব মিলিয়ে প্রতি দিন প্রায় দেড়শো ব্যবসায়ী এখানে মাছ কেনা-বেচা করেন।
প্রশাসনের সূত্রে জানা গেল, এই বাজারটির দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি। সম্প্রতি রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত জিউধারায় নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির কার্যালয় ঘুরে যান। সেখানে মন্ত্রীকে বাজারের দুর্দশার কথা জানান কালনার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ। দেবপ্রসাদবাবু বলেন, ‘‘মাছ বাজারের বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মন্ত্রী। বাজার সমিতি তা পাঠিয়েছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।’’ বাজার সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy