Advertisement
E-Paper

পূর্ব বর্ধমানের জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত আরও পাঁচ, সব মিলিয়ে পুলিশের জালে ছ’জন

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজুয়া গ্রামের ধৃত চার জন হলেন—আবু তাহের ওরফে হাসু, অনুপ কায়িম শেখ ওরফে পিনু (বাড়ির মালিক), নজরুল মোল্লা এবং জোমেইদ শেখ। এ ছাড়া কেতুগ্রামের জামির শেখকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৫ ২৩:০৪

— প্রতীকী চিত্র।

পূর্ব বর্ধমানের রাজুয়া গ্রামে জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডে মোট ছ’জন গ্রেফতার হলেন। ঘটনায় মূলচক্রী জামির শেখ চিহ্নিত। এ ছাড়াও ‘লিঙ্কম্যান’-সহ পাঁচ জন গ্রেফতার বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার অন্যতম চক্রী তুফান চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশের আশা, তুফানকে জেরা করার পর জানা যাবে বোমা মজুত করার উদ্দেশ্য ঠিক কী ছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজুয়া গ্রামের ধৃত চার জন হলেন—আবু তাহের ওরফে হাসু, অনুপ কায়িম শেখ ওরফে পিনু (বাড়ির মালিক), নজরুল মোল্লা এবং জোমেইদ শেখ। এ ছাড়া কেতুগ্রামের জামির শেখকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। যিনি এই বিস্ফোরণ চক্রের ‘লিঙ্কম্যান’ হিসাবে কাজ করছিলেন।

তদন্তে উঠে এসেছে বিস্ফোরণে জখম তুফানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা। শনিবার সকালে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। তাঁকে জেরা করেই পুলিশ জানতে পারে জামির শেখের নাম। পরে তুফানের মোবাইলের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে জামিরের সঙ্গে একাধিক বার কথা হয়েছিল তুফানের। সেই সূত্রেই জামিরের অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ সূত্রের খবর, রাজুয়া গ্রামে বোমা তৈরির জন্য জামিরই বোমা বিশেষজ্ঞ বরকত কারিগরকে ডেকেছিল, যিনি বীরভূমের নানুর থানার শিয়ালা গ্রামের বাসিন্দা। বিস্ফোরণে ব্যবহৃত উপকরণগুলিও জামিরই জোগাড় করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

ধৃত পাঁচ জনকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁদের মধ্যে জামির শেখকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। বাকিদের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

arrest Bardhaman Blast Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy