ভাঙচুরের পরে। নিজস্ব চিত্র।
দলের কোন্দলের জেরে মারপিট বেধে গেল তৃণমূলের সভায়। হেনস্থা হলেন খোদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। এ ছাড়া এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য-সহ তিন কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। সোমবার অন্ডালের দক্ষিণখণ্ডে বামেদের বন্ধের বিরোধিতায় ডাকা তৃণমূলের সভায় ঘটনাটি ঘটে।
তৃণমূলের অন্ডাল ব্লক সভাপতি অলোক মণ্ডল জানান, এ দিন দলের অ্যাড-হক কমিটি ওই সভার আয়োজন করেছিল। অভিযোগ, দক্ষিণখণ্ড পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অনন্ত ঘোষ ৫০-৬০ জন দুষ্কৃতীকে নিয়ে সেখানে চড়াও হন। প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য উত্তম হাজরা, রানা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে রড ও পিস্তলের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ অলোকবাবুর। তাঁর কথায়, ‘‘খবর পেয়ে আমি ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কালোবরণ মণ্ডল সভাস্থলে যাই। সেখানে ঢোকার মুখে অনন্ত কালোবরণবাবুকেও ধাক্কাধাক্কি ও হেনস্থা করে।’’ পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তাঁর।
অলোকবাবু জানান, তিনি নিজে অন্ডাল থানায় বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। দলের মহকুমা সভাপতিকেও বিষয়টি বিশদে জানাবেন বলে জানান তিনি। কালোবরণবাবুর আবার অভিযোগ, ‘‘অলোক ব্লক সভাপতি হওয়ার পর থেকেই যাদের খারাপ ভাবমূর্তি রয়েছে তাদের দলের পদ থেকে সরিয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মীদের বসাতে চাইছেন। তাতে বাদ পড়ার ভয়ে দক্ষিণখণ্ডে তোলাবাজিতে জড়িতরা এই সব ঘটনা ঘটিয়েছে। দল এ সব বরদাস্ত করবে না।’’
মারধরে জড়িত থাকার কথা উড়িয়ে অনন্তবাবুর পাল্টা দাবি, অলোকবাবু ও কালোবরণবাবুর নেতৃত্বে বহিরাগতদের নিয়ে একটি মোটরবাইক মিছিল তাঁদের গ্রামে ঢুকেছিল। মিছিল থেকে অলোকবাবু নিজে প্ররোচনামূলক কথাবার্তা বলছিলেন। কিছু বাসিন্দা এর প্রতিবাদ করেন। তার বেশি কিছু ঘটেনি বলে অনন্তবাবুর দাবি।
তৃণমূলের দুর্গাপুর মহকুমা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। দলের নির্দেশ মেনে সবাইকে চলতে হবে। কারও গুন্ডাগিরি দল বরদাস্ত করবে না।’’ পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিত তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy