Advertisement
E-Paper

অবসরের দিন স্কুলকে আড়াই লাখ ‘বড়দি’র

জীবন তিন দশকের। শনিবার ছিল, বর্ধমান বিদ্যার্থী হাইস্কুলের সেই ‘বড়দি’ কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়ের কর্ম জীবনের শেষ দিন। তবে স্কুলের উন্নতিতে তাঁর ভাবনার শেষ হয়নি। আর সেই ভাবনা থেকেই বোধহয় কর্মজীবনের পাওনা থেকে আড়াই লাখ টাকার একটি চেক তুলে দিলে স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৩০
বিদায়-বেলায়: ছাত্রীদের মাঝে কৃষ্ণাদেবী। নিজস্ব চিত্র

বিদায়-বেলায়: ছাত্রীদের মাঝে কৃষ্ণাদেবী। নিজস্ব চিত্র

জীবন তিন দশকের। শনিবার ছিল, বর্ধমান বিদ্যার্থী হাইস্কুলের সেই ‘বড়দি’ কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়ের কর্ম জীবনের শেষ দিন। তবে স্কুলের উন্নতিতে তাঁর ভাবনার শেষ হয়নি। আর সেই ভাবনা থেকেই বোধহয় কর্মজীবনের পাওনা থেকে আড়াই লাখ টাকার একটি চেক তুলে দিলে স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে।

এ দিন সকাল থেকেই স্কুলে ছিল সাজো-সাজো রব। প্রধান শিক্ষিকা অবসর নিচ্ছেন যে। সেই মতো সকাল থেকেই স্কুলে ভিড় জমিয়েছিলেন স্কুলের বর্তমান ছাত্রী ও প্রাক্তনীরা। ছিলেন, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক পরেশ সরকার, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার উৎপল দাঁ, মহকুমাশাসক মুফতি শামিম সওকত প্রমুখ বিশিষ্টরা। ছিলেন কৃষ্ণাদেবীর দাদা, আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

প্রধান শিক্ষিকা কৃষ্ণাদেবী স্কুলে ঢুকতেই চোখের জল বাঁধ মানেনি ছাত্রীদের। ফুলের তোড়া, শুভেচ্ছা আর প্রণামে স্বাগত জানানো হয় তাঁকে। বদলে মিলল, আর পাঁচটা দিনের মতোই স্নেহ। ছাত্রীদের পড়াশোনার খোঁজ-খবরও নিলেন তিনি। ছাত্রীদের উৎসাহে স্কুলের মাঠে চেয়ারে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলেন কৃষ্ণাদেবী। বলতে শুরু করলেন, নিজের কর্ম জীবনের কথা। ১৯৮৭ সালে স্কুলে যোগ দেন তিনি। তাঁর বক্তব্যে উঠে এল, স্কুলে সীমানা পাঁচিল দেওয়া, কম্পিউটার শিক্ষা ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ইংরেজি মাধ্যম শুরু করার মতো নানা প্রসঙ্গ। সেই সঙ্গে স্কুলের জমির একাংশ বেদখল হয়ে যাওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুন...
অটো চলছে না, যাতায়াতে নাকাল শহর

তবে সব কিছু ছাড়িয়ে এ দিন স্কুলে কান পাতলে শোনা গিয়েছে, ‘যেতে নাহি দিব’র কথা। ষষ্ঠ শ্রেণির শ্রেয়া দাস, দশম শ্রেণির অমৃতা দে, স্কুলেরক প্রাক্তনী আইরিন সুলতানা’রা বলে, ‘‘স্কুলটাই যেন অভিভাবককে হারাল।’’

Headmistress school development fund Grant Bardhaman Bidyarthi Bhaban High School Bardhaman
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy