E-Paper

মেধাতালিকায় জেলার চার জন

মন্তেশ্বরের সাগরবালা হাই স্কুলের ছাত্র সোহম ২০২২ সালে মাধ্যমিকেও রাজ্যে মেধাতালিকায় দশম স্থানে ছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৪ ০৮:৪২
মেধাতালিকায় যারা জায়গা করো নিয়েছে।

মেধাতালিকায় যারা জায়গা করো নিয়েছে। নিজস্ব চিত্র।

উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় পূর্ব বর্ধমান থেকে ঠাঁই করে নিল চার জন পরীক্ষার্থী। মেমারির আফরিন মণ্ডল ষষ্ঠ এবং মন্তেশ্বরের সোহম কোনার, পূর্বস্থলীর ইন্দ্রাণী সেন ও কাটোয়ার মেঝিয়ারির অন্তরা শেঠ দশম স্থানে রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তরা কলা বিভাগ ও অন্যেরা বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়া। জেলায় পাশের হার ৮৮.৬৭ শতাংশ। তার মধ্যে ছাত্রদের পাশের হার প্রায় ৯১.৪ শতাংশ ও ছাত্রীদের ক্ষেত্রে তা প্রায় ৮৬.৭৫ শতাংশ।

মেমারি বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দিরের (ইউনিট ১) ছাত্রী আফরিন ৪৯১ নম্বর পেয়েছে। তার ইচ্ছে ডাক্তারি পড়ার। বাবা-মা ছাড়াও এই ফলের জন্য গৃহশিক্ষক ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদান রয়েছে বলে জানায় আফরিন। তার বাবা আব্দুল আজিম মণ্ডল স্কুলের শিক্ষক এবং মা ফিরোজা বেগম গৃহকর্ম করেন। আফরিন গল্পের বই পড়তে ভালবাসে। তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক কেশবকুমার ঘোষাল বলেন, ‘‘ও খুব ভাল ছাত্রী ছিল। এই সাফল্য ওর পাওনা ছিল। আফরিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।’’

মন্তেশ্বরের সাগরবালা হাই স্কুলের ছাত্র সোহম ২০২২ সালে মাধ্যমিকেও রাজ্যে মেধাতালিকায় দশম স্থানে ছিল। সে এ বার উচ্চ মাধ্যমিকেও ৪৮৭ নম্বর পেয়ে দশম স্থান পেয়েছে। সোহম জানায়, তার আশা ছিল ৪৮৫ পাবে। মেধাতালিকায় স্থান পাওয়ায় খুবই খুশি সে। ডাক্তার হতে চায় সোহমও। সোহমের বাবা বিজিত কোনার একটি হাই স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক। মা কৃষ্ণা কোনার একটি স্কুলের শিক্ষাকর্মী। তাঁরা চান, ছেলে ডাক্তার হয়ে সমাজের সেবা করুক।

কাটোয়ার মেঝিয়ারি সতীশচন্দ্র স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী অন্তরাও দশম হয়েছে। তার প্রিয় বিষয় ইংরেজি। কলা বিভাগের ছাত্রী অন্তরা জানায়, ভাল ফল আশা করলেও, মেধাতালিকায় নামে থাকবে তা ভাবেনি। ভবিষ্যতে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে চায় সে। পড়াশোনার ফাঁকে গান শোনা তার প্রিয়। অন্তরার বাবা অমিতাভ শেঠ বলেন, ‘‘মেয়ে ছোট থেকেই পড়তে ভালবাসে।’’ মা অসীমা শেঠ বলেন, ‘‘ও ছোট থেকেই শিক্ষকতা করতে চায়।’’ অন্তরা বলে, ‘‘যোগ্য শিক্ষকেরা যেন চাকরি না হারায়।’’ মেঝিয়ারির স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকান্ত কর্মকার বলেন, ‘‘অন্তরার জন্য গর্বিত।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Higher Secondary Exam 2024 East Bardhaman

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy