Advertisement
E-Paper

ইটের ঘায়ে স্ত্রীকে ‘খুন’, ধৃত যুবক

পিটিয়ে, থেঁতলে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে কালনার পিন্ডিরায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৯ ০১:১৭
স্বজন হারিয়ে, কালনার পিন্ডিরা গ্রামে। —নিজস্ব চিত্র।

স্বজন হারিয়ে, কালনার পিন্ডিরা গ্রামে। —নিজস্ব চিত্র।

পিটিয়ে, থেঁতলে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে কালনার পিন্ডিরায়। মৃত চিন্তামণি সরেনের (২৮) পরিজনেদের অভিযোগ, স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় এই ঘটনা। পুলিশ ওই আদিবাসী বধূর স্বামী সুশীল সরেনকেও গ্রেফতার করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চোদ্দ আগে কালনা ২ ব্লকের চিন্তামণির সঙ্গে বিয়ে হয় কানি বামনি গ্রামের সুশীলের। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ি পিন্ডিরা এলাকাতেই বসবাস করত ওই দম্পতি। তিন মেয়ে রয়েছে তাঁদের। অভিযোগ, পেশায় ট্রাক্টর চালক সুশীল মত্ত অবস্থায় প্রায়শই মারধর করত স্ত্রীকে। কয়েকবার স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে আত্মীয়দের কাছেও চলে গিয়েছিলেন চিন্তামণি। এলাকার বাসিন্দারা জানান, সংসার চালাতে খেত মজুরের কাজ করতেন ওই মহিলা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার পাশের গ্রামে জলসা দেখতে গিয়েছিল সুশীল। বাড়িতে দুই মেয়ে মালা এবং মনীষাকে নিয়ে ছিলেন ওই বধূ। আত্মীয়দের দাবি, রবিবার সকালে হুগলির দে পাড়া এলাকার চার মহিলাকে নিয়ে বাড়ি ফেরে সুশীল। তাঁদের সঙ্গে বাড়িতেই অশালীন আচরণ করে বলে অভিযোগ। বড় মেয়ে মালার দাবি, ‘‘ওই চার জন মাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করছিল। মা কিছু বলতে গেলেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যাওয়াই দু’জন চলে যায়। তবে বাকি দু’জন মাকে বেধড়ক মারধর করে।’’ তার অভিযোগ, সুশীলও ওই দুই মহিলার কথা শুনে চিন্তামণিকে মারধর শুরু করে। ইট নিয়ে মাথায় আঘাত করা হয় বলেো অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই মহিলা।

মালা বলে, ‘‘ঘটনার সময় বোনের হাত শক্ত করে চেপে ধরে বাবা। আমাকেও ভয় দেখায় যাতে মায়ের কাছে না যেতে পারি।’’ এর বেশ কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশীরা ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। কালনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। সন্ধ্যায় সুশীল এবং মালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কালনা থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত স্বীকার করে মারধরের কথা।

মৃত বধূর আত্মীয় রানি কিস্কু, চূড়ামণি সরেন, পার্বতী মুর্মুদের দাবি, ‘‘সুশীলের চরিত্র বরাবরই খারাপ। আগেও সে স্ত্রীর উপর বহু বার অত্যাচার করেছে। ওই দিন বাড়িতে মহিলা নিয়ে আসা মেনে নিতে পারেনি চিন্তামণি।’’ প্রতিবাদ করাতেই তাঁকে মরতে হল, দাবি তাঁদের।

Kalna Murder Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy