Advertisement
E-Paper

জওয়ানের দেহ পেতে বিক্ষোভ

শুক্রবার দুপুরে শোর্কাত পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামবাসীর একাংশ মৃত জওয়ানের ছবি-সহ ফ্লেক্স নিয়ে মিছিল করে কাটোয়া মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে জড়ো হন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২০ ০২:১৬
দেহ চেয়ে জমায়েত। নিজস্ব চিত্র

দেহ চেয়ে জমায়েত। নিজস্ব চিত্র

প্রাণ হারিয়েছেন লে-তে কর্মরত এক জওয়ান। কিন্তু মৃত্যুর খবর দিলেও দেহ পরিবারের হাতে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ কাটোয়ার একাইহাট গ্রামের ওই পরিবার। তাঁদের দাবি, গত বুধবার বিকেলে সেনাবাহিনীর তরফে বাড়িতে ফোন করে সোমনাথ কর্মকারের (৩০) মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়। পরদিন দেহ পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেলে বাহিনীর তরফে ফোন করে বলা হয়, দেহে করোনা সংক্রমণ থাকায় তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব নয়। পরিবারের দাবি, ঠিক কী ভাবে সোমনাথের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন তাঁরা।

শুক্রবার দুপুরে শোর্কাত পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামবাসীর একাংশ মৃত জওয়ানের ছবি-সহ ফ্লেক্স নিয়ে মিছিল করে কাটোয়া মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে জড়ো হন। মাইকে দেহ ফেরত দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, কেন্দ্র সরকার মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দিক। মিছিলে ছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিকাশ চৌধুরীও। গ্রামবাসী হীরক বিশ্বাস, বিতনু বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলেন, ‘‘দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে জানানো হয়েছিল। আবার ফোন করে বলা হল, দেহ দেওয়া হবে না। পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা বিভ্রান্ত। জওয়ানের দেহ নিয়ে এই লুকোচুরি মানতে পারছি না। দেহ পেতে মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছি।’’ সোমনাথের বাবা মেঘনাথ কর্মকারও বলেন, “ছেলের মুখটা শেষ বার দেখতে চাই। সে আর্জি নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে এসেছি।’’

মহকুমাশাসক (কাটোয়া) প্রশান্তরাজ শুক্ল বলেন, “বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।’’

Leh-Ladakh Soldier Dead body
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy