Advertisement
E-Paper

করোনা আবহে সতর্কতা নিয়েই কল্পতরু উৎসব

মেলা কমিটি সূত্রে জানানো হয়েছে, শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দশ দিনের মেলা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:১৪
এখানেই হবে মেলা। দুর্গাপুরের গ্যামন ব্রিজ মাঠে। নিজস্ব চিত্র।

এখানেই হবে মেলা। দুর্গাপুরের গ্যামন ব্রিজ মাঠে। নিজস্ব চিত্র।

করোনা-পরিস্থিতিতে এ বার দুর্গাপুর সাংস্কৃতিক মেলা ও কল্পতরু উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে না। স্টলের সংখ্যা কমানো হয়েছে। প্রতিটি গেটে জীবাণুমুক্ত করার যন্ত্র রাখা হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি, ড্রোন ক্যামেরাও ব্যবহার করা হবে বলে জানান আয়োজকেরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাধুডাঙার কালিকানন্দ আশ্রমে কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে ১ জানুয়ারি থেকে ১০ দিন ধরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও সারদাদেবীর পুজো হতো। মেলাও বসত। কিন্তু মেলায় ভিড় বছর-বছর বাড়তে থাকায় মেলা উঠে আসে স্টেশন রোড লাগোয়া গ্যামন ব্রিজ লাগোয়া ময়দানে। ১৯৭৭-এ রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পরে, ‘দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেড’-এর (ডিপিএল) পৃষ্ঠপোষকতায় চলা এই মেলায় যোগ হয় কৃষিমেলা, শিল্পমেলা, বইমেলা। এ ছাড়া, প্রতি সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ‘কল্পতরু’ শব্দটি সরিয়ে নাম হয় ‘দুর্গাপুর সাংস্কৃতিক মেলা’। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে, আবার ফিরে আসে ‘কল্পতরু’ শব্দটি।

মেলা কমিটি সূত্রে জানানো হয়েছে, শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দশ দিনের মেলা। মেলায় অন্য বার ৪০০-৬০০ স্টল থাকে। এ বার দূরত্ব-বিধি বজায় রেখে স্টলের সংখ্যা মাত্র ২২০টি। থাকছে পৃথক কৃষিমেলা ও বইমেলা। মেলা কমিটির তরফে নয়ন মালাকার জানান, নিরাপত্তা জোরদার করতে ৫২টি সিসিটিভি ক্যামেরা ও ৩২টি ড্রোন ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া, সকালের ‘পালি’তে (শিফটে) দশ জন, দুপুরের ‘পালি’তে ১২০ জন এবং রাতের ‘পালি’তে ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য। থাকবে

স্বাস্থ্য শিবিরও।

বুধবার যাবতীয় প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন মেলা কমিটির চেয়ারম্যান তথা দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র দিলীপ অগস্তি। ছিলেন মেলা কমিটির তরফে বিপ্লব বসুঠাকুর, সূর্য কেশ প্রমুখ। বিপ্লববাবু জানান, মেলার সব প্রবেশদ্বারে স্যানিটাইজার যন্ত্র বসানো থাকবে। মেলায় মাস্ক বিলি করা হবে। কম দামে মাস্ক বিক্রির ব্যবস্থাও থাকবে। দর্শনার্থীদের জন্য ৩২টি শৌচাগার থাকছে। তবে করোনার জন্য মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বন্ধ থাকবে।

এ বার দুর্গাপুরে বইমেলা হবে না। সে জন্য এই মেলার বইমেলায় এ বার স্টলের সংখ্যা বাড়ানো হবে। অন্য বার স্টল থাকে ৪০টি। এ বার তা হবে ৫১টি, জানিয়েছে মেলা কমিটি। মেয়র জানান, খাবারের স্টলের গুণমান খতিয়ে দেখা হবে। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দল মেলার খাবারের স্টলে অভিযান চালাবে। নমুনা পরীক্ষা করে কোনও গোলমাল ধরা পড়লে, আইনি পদক্ষেপ করা হবে। মেয়র বলেন, ‘‘করোনা-পরিস্থিতিতে যাবতীয় স্বাস্থ্য-বিধি মেনে ও সতর্কতা নিয়ে মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা হয়েছে।’’

Kalpataru Festival Coronavirus Durgapu
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy