বর্ধমানে প্রকাশ কারাত। — ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটে এ রাজ্যে পূর্ণশক্তি নিয়ে লড়বে বামেরা। সোমবার বর্ধমানে এমন দাবি করলেন সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট। গত বারের পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে এ বার ‘বামেরা তৈরি’ বলে দাবি করেন প্রকাশ। তৃণমূল এবং বিজেপিকে একসারিতে বসিয়ে তিনি আক্রমণও শানিয়েছেন। কারাটের মন্তব্যের জবাব দিয়েছে তৃণমূল শিবিরও।
সোমবার বর্ধমানের লোক সংস্কৃতি মঞ্চে প্রয়াত সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী নিরুপম সেনের প্রথম স্মারক বক্তৃতায় উপস্থিত ছিলেন কারাট। তাঁর দাবি, ‘‘তৃণমূল মূলত আঞ্চলিক দল। কমিউনিস্টদের দমিয়ে রাখাই এদের উদ্দেশ্য। গণতন্ত্রকে না মানাই এদের রেওয়াজ। দু’বার সরকার চালাবার পর এদের জনবিরোধিতা স্পষ্ট হচ্ছে।’’ তাঁদের দলকে যে তৃণমূল এবং বিজেপি, এই দুই শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হবে, সে কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলকে নিশানা করে কারাতের বক্তব্য, ‘‘এই শক্তি কখনওই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতা রাখে না। এরা এমন একটা বাইনারি কায়েম করতে চায় যাতে বামেরা প্রান্তিক হয়ে যায়। এখানে দুই শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। কারও প্রতি দুর্বল হলে তা বাম আন্দোলনের পক্ষে ক্ষতিকারক হবে।’’ সারা দেশে বিজেপি ‘বড় বিপদ’ বলে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বার্তা দেন, ‘‘এ রাজ্যে বামশক্তিকে আবার শক্তিশালী করতে হবে।’’ পাশাপাশি, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে বিঁধেছেন সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক।
কারাটের মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, ‘‘সিপিএমের সঙ্গে বাংলার মানুষের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। বিধানসভায় তাই তাদের দলের কোনও সদস্য নেই। মানুষ তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাংলা থেকে ওদের উৎখাত করেছেন। প্রকাশ কারাটরা এখন বিলুপ্তপ্রায় হওয়ার পথে। তাই এ সব বলছেন।’’ সিপিএম ৩৪ বছর ক্ষমতায় থেকে বাংলার মানুষের জন্য কী করেছে তার ‘হিসাব’ও চান দেবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy