Advertisement
E-Paper

ধরপাকড়ের পরেও ভিড়, নিয়ন্ত্রণ মেমারির বাজারে

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মেমারি শহরে বড়-বড় কয়েকটি বাজার আছে। ভোর ৩টে থেকে সেই বাজারগুলিতে লোকজনের আনাগোনা শুরু হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৪৪
মেমারিতে নজরদারি পুলিশের। নিজস্ব চিত্র

মেমারিতে নজরদারি পুলিশের। নিজস্ব চিত্র

অনুরোধ-উপরোধে কাজ হয়নি। ধরপাকড় চালিয়েও পুরোপুরি সফল হওয়া যায়নি। রাস্তার পাশে দড়ি দিয়ে ঘেরা জায়গায় দাঁড় করিয়ে রেখে ‘শাস্তি’র ব্যবস্থা হয়েছিল শনিবার। কিন্তু তাতেও যে বিশেষ কাজ হয়নি, রবিবার সকালেই তার প্রমাণ মিলল মেমারি শহরের বিভিন্ন বাজারে। ভিড় এড়াতে রবিবার দুপুর থেকে পুলিশ শহরের বড় অংশে ‘নো-এন্ট্রি’ করে দিল। বাজার যেতে মোটরবাইক-সাইকেল নয়, বাসিন্দাদের হেঁটেই যেতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মেমারি শহরে বড়-বড় কয়েকটি বাজার আছে। ভোর ৩টে থেকে সেই বাজারগুলিতে লোকজনের আনাগোনা শুরু হয়। শহরের ভিতর দু’টি আড়ত রয়েছে। মেমারি, জামালপুর, বর্ধমান ২ ব্লকের একাংশ ছাড়াও হুগলির পান্ডুয়া পর্যন্ত চাষিদের একটি বড় অংশ সেগুলিতে আসেন। ভোর ৩টে থেকে সকাল প্রায় ৭টা পর্যন্ত বিকিকিনি হয়। তার পরে ব্যবসায়ীরা চলে যান খুচরো বাজারে। দিনভর ব্যবসা চলে। পুলিশ জানায়, ওই বাজার-আড়ত ঘিরে শহর-গ্রামের প্রচুর মানুষ আসছেন। মোটরবাইকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকেই। নানা ছোটখাট দোকানও খুলে যাচ্ছে।

লকডাউনের বিধি মানার জন্য গোড়ায় পুলিশ অনুরোধ করে প্রচার সেরেছিল। কাজ না হওয়ায় পরে ধরপাকড় শুরু হয়। থানায় নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয় অনেককে। তার পরেও যথাযথ কারণ ছাড়াই বাড়ির বাইরে বেরনো আটকানো যায়নি বলে জানায় পুলিশ। শনিবার বামুনপাড়া মোড়ে নজরদারির সময়ে বাইরে বেরনোর বিষয়ে সদুত্তর দিতে না পারা মোটরবাইক, সাইকেল আরোহীদের দাঁড় করিয়ে রাখা হয় দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা একটি জায়গায়। নির্দিষ্ট দূরত্বে আধ ঘণ্টা আটকে রাখার পরে তাঁদের ছাড়া হয়।

পুলিস সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালেও দূরত্ব-বিধি না মেনে বা মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরিয়ে আড্ডা দিতে দেখা গিয়েছে অনেককে। মেমারি থানা এ দিন দুপুরে বামুনপাড়া মোড়, হাসপাতাল মোড় ও কৃষ্ণবাজারে ব্যারিকেড দিয়ে ‘নো-এন্ট্রি’ করে দেয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ব্যারিকেডের বাইরে যে কোনও গাড়ি রেখে ২০ জন করে চাষি আড়তে যাবেন। আনাজের বস্তার গায়ে নাম-ঠিকানা লিখে দেবেন। আধ ঘণ্টার মধ্যে ফিরে এসে ফাঁকা জায়গায় দাঁড়াবেন। যে ব্যবসায়ী ওই আনাজ কিনবেন, তিনি সংশ্লিষ্ট জায়গায় এসে টাকা মিটিয়ে দেবেন। তেমনই বাজারেও সিভিক ভলান্টিয়ারেরা পাহারায় থাকবেন। সেখানেও ২০ জনকে এক সঙ্গে ঢুকতে দেওয়া হবে। বাজার করার জন্য আধ ঘণ্টা সময় মিলবে।

মেমারি থানায় ওসি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এরকম কিছু পদক্ষেপ করতে হয়েছে। পুরপ্রধান স্বপন বিষয়ী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দূরত্ব বজায় রাখতে, ‘মাস্ক’ পরতে বলছেন। অকারণে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করছেন। তা না মানলে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।’’

Memari Market Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy