মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির নরোত্তম মিশ্র। ফাইল চিত্র।
কৃষি আইন নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে কিছু রাজনৈতিক দল, পূর্ব বর্ধমানে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে এমনই দাবি করলেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির নরোত্তম মিশ্র। এ দিন কালনা ও বর্ধমানে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বুথ সংগঠন শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি, জানা গিয়েছে বিজেপি সূত্রে।
এ দিন সকালে কালনায় পৌঁছন নরোত্তম। সিদ্ধেশ্বরী বাড়িতে পুজো দিয়ে কালনা শহরে শুরু করেন ‘গৃহসম্পর্ক’ অভিযান। পরে একটি হোটেলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ছিলেন বিজেপির জেলা (কাটোয়া) সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ, রাজ্য সম্পাদক বিবেক সরকার, এলাকায় দলের আহ্বায়ক পার্থসারথি কুণ্ডু, পর্যবেক্ষক সুবীর নাগ ও বিভিন্ন মণ্ডলের সভাপতিরা। বিজেপি সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে বিধানসভা ভোটের আগে বুথ-স্তরে সংগঠন শক্তিশালী করার পরামর্শ দেন নরোত্তম।
মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী এ দিন দাবি করেন, কেন্দ্রের আনা কৃষি আইনে চাষিরা লাভবান হবেন। আড়তদারদের হাতে চাষিদের লভ্যাংশ চলে চায়। নতুন আইনে চাষিরা নিজেদের ফসল ইচ্ছেমতো বিক্রি করতে পারবেন। সাধারণ চাষিরা এই আইন সমর্থন করছেন। কিছু রাজনৈতিক দল রাজনীতির জন্য বিরোধিতা করছে। তাঁর আরও দাবি, পশ্চিমবঙ্গে দলের নেতা-কর্মীরা ভাল লড়াই করছেন।
বিকেলে বর্ধমান শহরে বাদামতলার মোড়ে পৌঁছে মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী ‘গৃহসম্পর্ক’ অভিযানের লিফলেট বিলি করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। দু’টি বাড়িতেও যান। পরে ডিভিসি মোড়ে দলের অফিসে গিয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মীরা ভোটের সময়ে নিরাপত্তার দাবি জানান। মন্ত্রী আশ্বাস দেন, দলের নেতারা বারবার আসবেন, নিরাপত্তার সমস্যা হবে না।
বিজেপি নেতাদের তৃণমূল ‘বহিরাগত’ দাবি করছে, তা নিয়ে এ দিন নরোত্তমের প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিয়ে হলে তো বাইরে থেকে আত্মীয়স্বজন আসেন। আমরাও সে ভাবেই আসব। তৃণমূলের জাহাজ ডুবছে। এ রাজ্যের মানুষ চাইছেন, বিজেপি আসুক।’’ তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডুর পাল্টা দাবি, ‘‘উনি বাংলার সংস্কৃতি বোঝেন না। বাঙালি সম্পর্কে ধ্যানধারণা নেই। তৃণমূল এত ঠুনকো দল নয়, যে ডুবে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy