কুকুরকে প্রাণে মেরে ফেলে জেলে গেলেন এক ব্যক্তি। —প্রতীকী চিত্র।
স্কুটারের আসন ছিঁড়ে দেওয়ায় বিরক্ত হয়ে গর্ভবতী একটি কুকুরকে এয়ারগান দিয়ে গুলি করে হত্যার অভিযোগ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মরত দিব্যেন্দু ভাওয়াল নামের ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দিব্যেন্দুর স্কুটির আসন বার বার ছিঁড়ে ফেলছিল একটি কুকুর। দিব্যেন্দুর দাবি, এতেই নাকি তাঁর মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। বছর পঞ্চান্নের দিব্যেন্দু এর পর ওই কুকুরটিকে এয়ারগান দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তাজ্জব দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর বি জ়োনের নিউটন এলাকার মানুষ। প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতে দিব্যেন্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিউটন এলাকার ২০ নম্বর স্ট্রিটের ৩ নম্বর বাড়িতে থাকেন দিব্যেন্দু। পুলিশকে তিনি জানান, বেশ কয়েক দিন আগে তাঁর স্কুটির সিট ছিঁড়ে দিয়েছিল একটি কুকুর। বার বার একই ঘটনায় বিরক্ত হন তিনি। তা ছাড়া মাঝে মাঝে ওই কুকুরের চিৎকারে নাকি পরিবারের লোকজনের অসুবিধে হত। দিনের পর দিন কুকুরের এই ‘আচরণ’ সহ্য করতে পারেননি তিনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে ওই কুকুরটিকে দেখতে পেয়ে গুলি করেন দিব্যেন্দু। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কুকুরটি। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয়। স্থানীয়েরা রক্তাক্ত কুকুরটির দেহ নিয়ে যান দুর্গাপুর থানার আওতায় থাকা বিজন ফাঁড়িতে। অভিযুক্ত দিব্যেন্দুকে পুলিশ নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করে।
এই ঘটনার দিব্যেন্দুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন প্রতিবেশী থেকে পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যেরা। মঙ্গলবার রাতেই শহরের পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যেরা বিজন ফাঁড়িতে চলে আসেন। তাঁদের দাবি, অভিযুক্তকে আটক নয়, গ্রেফতার করতে হবে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অন্য দিকে, অভিযুক্তের মা সাবিত্রী ভাওয়াল তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ মেনে নিয়েছেন। তবে তাঁর দাবি, কুকুরটিকে প্রাণে মারার কোনও অভিপ্রায় ছিল না তাঁর ছেলের। তাঁর কথায়, ‘‘ও গুলি করে ভয় দেখাতে চেয়েছিল। মারার উদ্দেশে আমার ছেলে গুলি চালায়নি। এমনই পাখি মারার জন্য এয়ারগানটা রেখেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy