খেতজমির পাশ দিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হলেন এক যুবক। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কেতুগ্রামের রাজুরগ্রামের কাছে। ফিরোজ শেখ নামে আহত ওই যুবককে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সন্ধ্যার পরে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এই ঘটনার পরে ফিরোজের ভাই মোসলেন শেখ কেতুগ্রাম থানায় ৫ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ রাত পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফিরোজের পরিচিতজনদের দাবি, তাঁরা কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজ ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহের শেখের অনুগামী। বেশ কিছু দিন ধরে শাসকদলের গোষ্ঠী রাজনীতিতে কেতুগ্রামের বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রাজুর গ্রাম দখল নেওয়ার উদ্দেশ্যেই তৃণমূলের অন্যগোষ্ঠীর লোকেরা এ দিন সকালে হামলা চালায় বলে তাঁদের অভিযোগ। যদিও অন্যগোষ্ঠীর নেতারা এই ঘটনাকে পারিবারিক বা ব্যক্তিগত বিবাদ বলেই মনে করছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে পাশের রায়খা গ্রামের হাটে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন ফিরোজ। তিনি ওই হাটে মুরগি বিক্রি করেন। রাজুর গ্রামের কাজিপাড়া থেকে কিছুটা দূরে যেতেই সাবমার্সিবল পাম্পের ঘরের পাশ থেকে ফিরোজকে লক্ষ করে তিন-চারটে গুলি ছোড়া হয়। একটি ফিরোজের পেটে লাগে। ঘটনাস্থলের কাছেই কান্দরা ক্যাম্প থেকে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহের শেখ বলেন, “যারা গুলি মারছে, তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ ভয়ে বাড়িতে থাকছেন। পুলিশের মদতে দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে কেতুগ্রামে।”
জাহিরদের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা সাউদ মিঞা অবশ্য বলেন, “এই ঘটনায় কোনও গোষ্ঠীর ব্যাপার নেই। পুরোটাই পারিবারিক বা ব্যক্তিগত স্তরে ঘটনা। আহত বা অভিযুক্তরা কোনও দলের সমর্থক বলে শোনা যায়নি।” জাহিরের অভিযোদ প্রসঙ্গে জেলার এক পুলিশকর্তা বলেন, “বারবার কেন এই অভিযোগ উঠছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy