Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Mini Bus

MIni Bus: বিমার কিস্তি মকুবের দাবি বাস মালিকদের

জেলার বাস মালিক সংগঠনগুলির সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার আসানসোল মহকুমা জুড়ে দু’শোটি বড়বাস ও ১১৭টি মিনিবাস পথে নেমেছিল।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানিগঞ্জ ও দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২১ ০৭:৫৩
Share: Save:

আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমা থেকে মিনিবাস চলে যথাক্রমে ৪৫০টি এবং ২৫০টি। বড়বাসের সংখ্যাটা যথাক্রমে, ৪২০টি ও ৩৫০টি। কিছু বড়বাস ও মিনিবাস পথে নেমেছে। কিন্তু সম্প্রতি ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট’ জানিয়েছে, তারা রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব দেবে। তাতে বর্ধিত ভাড়ার সঙ্গে, বিমা, টোল ট্যাক্সে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হবে। একই দাবি উঠছে পশ্চিম বর্ধমানেও।

জেলার বাস মালিক সংগঠনগুলির সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার আসানসোল মহকুমা জুড়ে দু’শোটি বড়বাস ও ১১৭টি মিনিবাস পথে নেমেছিল। দুর্গাপুরে এ পর্যন্ত সেই সংখ্যাটি যথাক্রমে দু’শোটি এবং ৬০টি।

রবিবার ‘আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক সুদীপ রায় বলেন, ‘‘দু’মাস বাস বন্ধ ছিল। ফলে, কেন্দ্রের কাছে আমাদের আর্জি, কয়েক মাস বিমার কিস্তি মকুব করা হোক।’’ পাশাপাশি, তাঁরা যাত্রী পরিবহণ শিল্পকে ‘এমএসএমই’-এর অন্তর্ভুক্ত করা, দ্রুত ডিজেলে ‘জিএসটি’ লাগু এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের দামের সঙ্গে সমতা রেখে ডিজেলের দাম নির্ধারণেরও দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া, রাজ্য সরকারের কাছে সংগঠনগুলির আবেদন, ভাড়া বাড়ানোর পাশাপাশি, যাত্রী পরিবহণে যুক্ত ‘অবৈধ’ গাড়ির চলাচল বন্ধ করতে হবে।

একই কথা জানিয়েছেন আসানসোল বাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মুখোপাধ্যায়ও। পাশাপাশি, প্রয়োজনে বিনা সুদে ঋণ ও আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার আর্জিও জানান তিনি। এর কারণ হিসেবে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘দীর্ঘদিন পথে না নামায় বহু বাসেরই যন্ত্রাংশের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে মেরামত করাতে পারছেন না অনেকেই। বিনা সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে, তাঁদের সুবিধা হবে।’’

এ দিকে, যাত্রীদের থেকে ‘অনুদান’ হিসেবে এই মুহূর্তে ন্যূনতম ১৫ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। একটি বড়বাসের কর্মী শৈলেন রাঠোরের তবে অভিজ্ঞতা, ‘‘প্রথম দিকে সব যাত্রীই ওই টাকা ভাড়া দিচ্ছিলেন। কিন্তু সরকার এখনও ভাড়া না বাড়ানোয় এ নিয়ে যাত্রী-অসন্তোষ বাড়ছে।’’ যদিও, এ পর্যন্ত তাঁদের এমন অভিজ্ঞতা হয়নি বলেই জানালেন মিনিবাসের কর্মী পরিতোষ পাল। পাশাপাশি, মিনিবাস মালিক সংগঠন ‘দুর্গাপুর প্যাসেঞ্জার ক্যারিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক কাজল দে’র দাবি, ‘‘যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ অনুদান হিসেবে চেয়েও পরিষেবা চালু রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’’ ওই সংগঠনটিরও দাবি, ভাড়া বৃদ্ধির পাশাপাশি, বিমা, ফিটনেস প্রভৃতি ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া দরকার। পরিস্থিতি দ্রুত না বদলালে এ ভাবে দীর্ঘদিন বাস চালানো সম্ভব নয়, এমনই মনে করছেন ‘দুর্গাপুর বাস মালিক কল্যাণ সমিতি’র সম্পাদক সুভাষ চট্টোপাধ্যায়। কারণ তিনি জানান, কর্মীদের বেতন, বাসের রক্ষণাবেক্ষণ-সহ অন্য খরচ কার্যত পকেট থেকেই যাচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mini Bus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE