তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠক। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
ফের রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে বিঁধল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। পাশাপাশি, গত ২৯ মার্চ ডাক সত্ত্বেও ইডি-র দিল্লির দফতরে যাননি। না যাওয়ার কারণ জানিয়ে তিনি চিঠিও দিয়েছেন বলে সূত্রের দাবি। তবে চিঠিতে কী লিখেছেন, তা অবশ্য ভাঙেননি মলয়।
বৃহস্পতিবার আসানসোলের রাহালেনের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের ‘পথশ্রী-রাস্তাশ্রী’ প্রকল্প, ৭৮টি জনমুখী প্রকল্পের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন মলয়। সে সঙ্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দেশের শ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী’ বলেও তিনি দাবি করেন। পাশাপাশি, ঢাকেশ্বরী কটন মিলে অব্যবহৃত ১৯৩ একর জমি সরকার অধিগ্রহণ করেছে, শিল্প স্থাপনের জন্য আবেদন জানিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে, এ সব তথ্যও মলয়তুলে ধরেন।
এর পরেই মলয় অভিযোগ করেন, “রাজ্যের উন্নয়নে কেন্দ্র বাধা দিচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। আবাস যোজনা, একশো দিনের প্রকল্পের টাকা পাওয়া যাচ্ছে না।” যদিও, মলয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দিলীপ দে। তিনি দাবি করেন, “কেন্দ্র এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্প বাবদ রাজ্যকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। কিন্তু অর্ধেক টাকার হিসাব রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে দেওয়া হয়নি। এর পরেও রাজ্যের মন্ত্রীরা কী ভাবে কেন্দ্রীয় অনুদানের টাকাচাইতে পারেন!”
পাশাপাশি, ইডি-র দফতরে হাজির না হওয়ার কারণ জানিয়ে মলয় চিঠি লিখেছেন বলে সূত্রের দাবি। সে প্রসঙ্গে এ দিন তিনি বলেন, “কী লিখেছি, তা বলব না।”
এ দিকে, রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ) কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। দলের ২ নম্বর ব্লকের তরফে আয়োজিত ওই কর্মসূচি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না পাঠানোর অভিযোগ তোলা হয়। উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যরা। উজ্জ্বল বলেন, “রাজ্যকে বঞ্চনার জবাব যথাসময়ে দেবেন রাজ্যবাসী।’’ বিজেপি নেতৃত্ব বঞ্চনার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy