সেই দৃশ্য।
আমরা কি চা খাব না? খাব না আমরা চা? চা-কাকুর সেই আর্তি লকডাউন পর্বে সামাজিক মাধ্যমে মারাত্মক ভাবে ভাইরাল হয়েছিল। সময়ের প্রবাহে চা-কাকুকে আমরা প্রায় সকলেই ভুলেই গেছি। ভুলে যাওয়ারই কথা। কিন্তু শনিবার শীতের কুয়াশা ভরা সকালে সেই স্মৃতিই যেন ফিরে এল অন্য রূপে, অন্য ভাবে।
পূর্ব বর্ধমানের ভাতার বাজারে রয়েছে কেষ্ট’র চায়ের দোকান। বাবা-মায়ের দেওয়া নাম যে কৃষ্ণগোপাল মোদক, সেটা জানেন না সিংহভাগ খদ্দের। টানা ক'দিনের ঘন কুয়াশা। ফলে পারদও বেশ কিছুটা নেমেছে। চায়ের দোকানেও ভিড় বেড়েছে গত কয়েক দিনে। চাদর-জ্যাকেট, মাস্কের আড়ালে শরীর ঢেকেও জমে উঠেছে আড্ডা। রাজনীতি থেকে খেলা, দাদা থেকে দিদি— চায়ের কাপে উঠেছে তুফান। তার মধ্যেই চায়ের দোকানে সটান হাজির পবনপুত্র।
মুখে বলতে না পারলেও সেই চা-কাকুর মতোই চোখেমুখে আর্তি, ‘এই শীতে আমরা কি চা খাব না? খাব না আমরা চা?’
এগিয়ে গিয়ে কেষ্টদা হাতে দুটো বিস্কুট তুলে দিতেই টপাটপ খেয়ে নিল লম্বা লাঙ্গুলধারী জীব। কিন্তু তার পরেও ঠায় বসে আছে অভিনব খদ্দের। এত বছর ধরে খদ্দেরের মন জুগিয়ে দোকান চালিয়ে আসা কেষ্টদারও হয়তো বুঝতে অসুবিধা হয়নি, আসলে ওর পছন্দ গরম চা। প্রবল ঠান্ডায় চায়ের চুমুক যেন তৃপ্তি এনে দিল পবনপুত্রের। শুধু কেষ্টদা নয়, হনুমানের এমন চা খাওয়া তখন তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন দোকানের সকলেই। সাত সকালে ‘চায়ে পে চর্চা’য় মুগ্ধ বাজারের ব্যবসায়ীরা।
দেখুন ভিডিয়ো:
আরও পড়ুন: রাজ্যে ক্ষমতায় এলে ৭৫ লক্ষ চাকরি, প্রতিশ্রুতি বিজেপির, ‘ভাঁওতা’ বলছে তৃণমূল-বাম-কং
আরও পড়ুন: কনভয়ে হামলায় ‘লজ্জিত’ নড্ডার বাঙালি স্ত্রী, প্রচারে আসতে চান বঙ্গে
চায়ের দোকানদার কৃষ্ণগোপাল মোদক বলেন, ‘‘ত্রিশ বছরের চায়ের দোকান। এই প্রথম হনুমান চা খেতে এল দোকানে। বিস্কুট ও চা খাইয়ে বড্ড তৃপ্তি পেলাম।"
স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম কোনার রীতিমতো মুগ্ধ। তিনি বলেন, ‘‘একেবারে মানুষের মতো কাপে চুমুক দিয়ে চা খেল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy