এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় মশার দাপট। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্যের পুরসভাগুলিকে জানুয়ারি থেকেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন। মশা-দমন নিয়ে নির্দেশ রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকেরও। কিন্তু, কাটোয়া পুরসভায় এখনও পর্যন্ত এক জনও পতঙ্গবিদ নেই বলে খবর। যদিও পুরসভার দাবি, মার্চ থেকেই মশা-দমনের কাজ শুরু করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, শুরু হয়েছে সচেতনতা প্রচার। পুরসভার দাবি, নিকাশি নালাগুলিতে স্প্রে করা হচ্ছে। ১৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে শুধু ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মশা-দমনের কাজ বাকি। পুরসভার স্যানিটেশন বিভাগের প্রধান তাপসকুমার ধরের দাবি, ‘‘গত বছর কাটোয়ায় চার জন ডেঙ্গি ও কয়েক জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হন। এ বার আগেভাগেই সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।’’
যদিও, এই অভিযান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে শহরবাসীর একাংশের মধ্যে। কারণ, নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করতে গেলে দরকার বিশেষজ্ঞ, অভিজ্ঞ কর্মী এবং পতঙ্গবিদের। শহরের কোথায়, কোন সময়ে কী প্রজাতির মশা ডিম পাড়ছে, সেই সব তথ্যও থাকা দরকার পুরসভার কাছে। তার ভিত্তিতেই মশা নিধনের ব্যবস্থা করতে হবে। কাটোয়া পুরসভা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত এ সব তথ্য তাদের হাতে নেই। তবে পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার সমরেন্দ্রনাথ কোলের দাবি, ‘‘পতঙ্গবিদ নিয়োগের বিষয়ে নির্দেশিকা আসেনি।’’
পুরসভা মশা-দমনের কাজ প্রায় শেষের মুখে দাবি করেছে। কিন্তু সম্প্রতি, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আদর্শপল্লি এলাকায় আবর্জনা জমে রয়েছে বলে পুরসভায় অভিযোগ করেন বাসিন্দাদের একাংশ। ১৩, ১৮, ৫ নম্বর ওয়ার্ডেও নিকাশি নালা দীর্ঘদিন পরিষ্কার হয়নি বলে অভিযোগ কাউন্সিলর ভাস্কর মণ্ডলের।
বিযয়টি নিয়ে আজ, শুক্রবার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কবিতা শাসমলের উপস্থিতিতে বৈঠক হবে পুর-কর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy