Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Galsi

প্রতি সপ্তাহে পাড়ায় ঘুরে পাঠদান

রাজীববাবুর দাবি, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে, প্রত্যেক পড়ুয়ার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

 পাড়ায় পড়াচ্ছেন শিক্ষকেরা। গলসির কুড়মুনায়। নিজস্ব চিত্র

পাড়ায় পড়াচ্ছেন শিক্ষকেরা। গলসির কুড়মুনায়। নিজস্ব চিত্র

কাজল মির্জা
গলসি শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০ ০১:৫৮
Share: Save:

মার্চ থেকে বন্ধ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বেশির ভাগ বেসরকারি স্কুল অনলাইনে পাঠদান চালু করলেও সরকারি স্কুল, বিশেষত গ্রামীণ এলাকার প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। তাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ধরে রাখতে পাড়ায়-পাড়ায় গিয়ে পড়ানো শুরু করেছেন গলসি ২ ব্লকের কুড়মুনা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শেখ আব্দুস সালামকে সঙ্গে নিয়ে ওই শিক্ষক রাজীবকুমার হুই সপ্তাহে দু’দিন করে গ্রামের প্রতি পাড়ায় যাচ্ছেন। মাস্টারমশাইদের পেয়ে বই-খাতার ‘টান’ ফিরে পাচ্ছে পড়ুয়ারাও।

রাজীববাবুর দাবি, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে, প্রত্যেক পড়ুয়ার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোনও দিন পাড়ার ফাঁকা মাঠ, কারও বাড়ির উঠোন বা মন্দিরের আটচালায় চলছে ক্লাস। স্কুলের ছেলেমেয়েদের বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোল—সব বিষয়ে পড়ানো হচ্ছে রুটিন ধরে। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া এলাকার অভিভাবকদের দাবি, স্মার্টফোন না থাকায় যে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল তাঁদের ছেলেমেয়েরা, তা দূর করেছেন এই শিক্ষকেরা।

কুড়মুনা অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ২২০। স্কুল কর্তৃপক্ষ অনলাইনে পড়াশোনা চালু করেছেন। কিন্তু বেশির ভাগ বাড়িতে অ্যান্ড্রয়েড ফোন না থাকায় ওই পদ্ধতিতে পড়াশোনার গতি আসছিল না, দাবি তাঁদের। সে কারণেই এই পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন রাজীববাবুরা। প্রায় তিন মাস ধরে চলছে পড়ানো। স্কুলের বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকারা দূরে থাকায় অবশ্য আসতে পারছেন না, জানান তাঁরা।

রাজীববাবু বলেন, ‘‘দূরত্ববিধি মেনে পড়ুয়াদের বসানো হয়। স্যানিটাইজ়ারও দেওয়া হয়।’’ তাঁর দাবি, ‘‘সুস্থ থাকতে সচেতনতার পাঠ যেমন দেওয়া হয়, তেমনই নিয়মিত অনুশীলন করানো হয়।’’ তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মেঘনা দাস, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সুহানা পারভিনরা বলে, ‘‘সবাই এক সঙ্গে পড়ছি বলে মনে হচ্ছে স্কুলেই রয়েছি।’’ অভিভাবক পুজা হুই, মিন্টু আলি শেখ বলেন, ‘‘নিজেরা রোজগার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ছেলেমেয়েদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলাম। শিক্ষকেরা খুব ভাল ব্যবস্থা করেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Galsi Offline class
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE