অবলম্বন: কাঁকসার তিলকডাঙা গ্রামে সেই টিউবওয়েল। নিজস্ব চিত্র
গ্রামে পানীয় জলের একমাত্র ভরসা স্কুলের টিউবওয়েল। কোনও কারণে সেটি বিকল হলে কী হবে, জানা নেই কাঁকসার আদিবাসী গ্রাম তিলকডাঙার বাসিন্দাদের।
দুর্গাপুর শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে তিলকডাঙা গ্রামে পঞ্চাশেরও বেশি আদিবাসী পরিবারের বাস। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ডিভিসি ক্যানাল। বাসন্তী হাঁসদা, রেখা হাঁসদা, বালি সোরেনরা জানান, এক বছর অন্তর জল আসে ক্যানালে। গ্রামের ভিতরে কোনও কুয়ো নেই। টিউবওয়েল বা জলের অন্য কোনও উৎসও নেই। গ্রামে ঢুকতেই রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও প্রাথমিক স্কুল। সেখানেই রয়েছে একমাত্র টিউবওয়েলটি। গ্রামের সবার ভরসা সেটি। প্রখর গ্রীষ্মে তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে টিউবওয়েলটি থেকে জল ভরে নিয়ে যান আদিবাসী মহিলারা।
বাসিন্দারা জানান, স্নানের জন্য তাঁরা গ্রামের ডোবা ব্যবহার করেন। কিন্তু পানীয় জলের আর কোনও বিকল্প ব্যবস্থা নেই। বাসিন্দারা জানান, প্রখর গ্রীষ্মে জলস্তর নেমে যায়। ফলে, টিউবওয়েলটি থেকে জল পেতে সমস্যা দেখা দেয়। গরমে জলের প্রয়োজনীয়তা বাড়ে।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, গোটা গ্রাম থেকে বাসিন্দারা জল নিতে আসায় পঠনপাঠনে ব্যাঘাত ঘটে। স্কুলের মিড-ডে মিলের কাজেও অসুবিধে হয় বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। অঙ্গনওয়াড়িতে ১৭ জন পড়ুয়া ও ২৩ জন প্রসূতির জন্য রান্না হয়। প্রাথমিক স্কুলে রান্না হয় ৪১ জন পড়ুয়ার। সে সবে সমস্যা হয় বলে অভিযোগ।
গ্রামে আলাদা টিউবওয়েল বা কুয়োর শীঘ্র বন্দোবস্ত করার দাবি জানিয়েছেন তিলকডাঙার বাসিন্দারা। বাসন্তী, রেখাদের কথায়, ‘‘গরম পড়তেই স্কুলের টিউবওয়েলে জল কম উঠতে শুরু করেছে। টিউবওয়েলটি নষ্ট হলে কী হবে, আমরা জানি না। কারও কোনও নজর নেই।’’ কাঁকসার বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। পঞ্চায়েতকে ওখানে একটি অন্তত টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করার কথা বলছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy