জেল থেকেই ছবি আপলোড। নিজস্ব চিত্র।
জেলে বসে নিয়মিত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছবি আপলোড করা ও ইন্টারনেটে কথোপকথন চালিয়ে যাওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই বন্দিদের মোবাইলের খোঁজে রাতভর তল্লাশি চালালেন বর্ধমানের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের কর্তারা। তবে শেষ পর্যন্ত শৌচাগারের একটি খাঁজ থেকে সাধারণ একটি মোবাইল মিলেছে বলে তাঁদের দাবি। বুধবার কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে গিয়ে অভিযুক্ত বন্দি বিশাল সিংহের সঙ্গেও কথা বলেন বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) নিখিল নির্মল। তাঁর দাবি, “ওই বন্দি সংশোধনাগারে বসে নিয়মিত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করছিলেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ বর্ধমান থানায় ওই মোবাইলটি জমা দিয়ে মামলা রুজু করেছে।’’ ওই বন্দির বিরুদ্ধে আইনানুগ কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও তাঁর দাবি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে বর্ধমান শহরের মেহেদি বাগান এলাকা থেকে বিশাল সিংহকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গাঁজা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বর্ধমানে মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালতে তাঁর বিচার চলছে। তার মাঝেই জেলে থাকাকালীন নানা ছবি তিনি আপলোড করেন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। তা চোখে পড়ে একাধিক কর্তারও। বুধবার বিকেলে কারা বিভাগ জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়। কিন্তু প্রশ্ন হল, কী ভাবে দিনের পর দিন ওই বন্দি জেলে বসেই মোবাইল ব্যবহার করলেন? বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের এক কর্তা বলেন, “সেটা জানলে তো হয়েই যেত! বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তখনই জানা যাবে কী ভাবে ওই বন্দি মোবাইল ব্যবহার করত।” তবে নিরাপত্তা যে বিঘ্নিত হয়েছে তা স্পষ্ট অতিরিক্ত জেলাশাসকের কথায়। তিনি বলেন, “সপ্তাহে দু’দিন করে সংশোধানগারের প্রতিটি জায়গা তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারা বিভাগের সঙ্গে কথা বলে সংশোধানগারে জ্যামার লাগানো যায় কি না দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy