কেতুগ্রামে সীতাহাটি পঞ্চায়েত ভবনের পাশেই ভাগীরথী। —নিজস্ব চিত্র।
কয়েক ফুট দূরে ফুঁসছে ভাগীরথী। ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে কেতুগ্রাম ২ ব্লকের সীতাহাটি পঞ্চায়েত কার্যালয়। চিন্তিত প্রশাসন। ভাঙন রুখতে এখনই পদক্ষেপ করা দরকার, দাবি স্থানীয়দের। এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে দাবি করে সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনই দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের অনেক গ্রামেরই একাংশ নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। কাটোয়া শহর হয়ে শাঁখাইঘাট, উদ্ধারণপুর ছুঁয়ে মৌগ্রাম অভিমুখে যাওয়া রাস্তাটিও ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে।
সীতাহাটি গ্রামের বাসিন্দা প্রণবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আর মাত্র সাত থেকে আট ফুট পাড় ভাঙলেই পঞ্চায়েত ভবনটি নদীগর্ভে চলে যেতে পারে। বেশ কয়েকটি গ্রামও ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে। আরএলআই পাম্প হাউস থেকে শুরু করে স্কুল, ও বেশ কিছু বাড়ির নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। উদ্ধারণপুর রাস্তাও অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়েছে।” প্রশাসন এখনই উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে বড় সমস্যা হতে পারে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
সীতাহাটি পঞ্চায়েতের প্রধান বন্দনা মাঝি বলেন, “পঞ্চায়েত ভবনটি নিয়ে খুবই চিন্তায় রয়েছি। মাত্র কয়েক হাত পাড় ভাঙলেই সেটি যে কোনও সময় ভাগীরথীর জলে তলিয়ে যেতে পারে। গ্রামেও ভাঙন বাড়ছে। সবে প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছি। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”
কেতুগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ বিশ্বাসর দাবি, “বিষয়টি বিধায়কের নজরে এনেছি। বিভাগীয় সভায় এ নিয়ে আলোচনা হবে।” কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনেওয়াজের আশ্বাস, “পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভবনটি ভাঙনের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে বলে শুনেছি।’’
সেচ দফতরের ময়ুরাক্ষী সাউথ ক্যানেল সাব ডিভিশনের (সালার) সহকারী বাস্তুকার সিরাজ হোসেনের বক্তব্য, “ইতিমধ্যেই ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে ভয়ের বিশেষ কিছু নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy