রাজ্য সরকারের ‘চোখের আলো’ প্রকল্পে চশমা পাচ্ছেন না রোগীরা। প্রশাসন সূত্রের খবর, দরপত্র মোতাবেক চশমা সরবরাহের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণেই এই সমস্যা। জেলার সদর হাসপাতালের পাশাপাশি, ব্লক স্তরেরও এই সমস্যা দেখা গিয়েছে। দিন কয়েক আগে অবশ্য দরপত্রের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হওয়ায় দ্রুত রোগীরা চশমা পাবেন বলে দাবি সরবরাহকারীদের। তবে তাঁদের অভিযোগ, গত দেড় বছর ধরে তাঁরা চশমা দেওয়ার জন্য প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না। এই খাতে বকেয়া রয়েছে কয়েক কোটি টাকা।
বর্ধমান মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রকল্পে ১৮ বছরের নীচে এবং ৪৪ বছরের উপরের রোগীদের বিনামূল্যে চশমা দেওয়া হয়। বর্ধমান মেডিক্যাল ছাড়াও সমস্ত ব্লক হাসপাতালে এই প্রক্রিয়া চলে। সরবরাহকারীরাই চশমার ‘পাওয়ার’ জেনে, চশমা করিয়ে তা রোগীদের হাতে তুলে দেন। গত দু’মাস ধরে সেই পরিষেবা বন্ধ। বহু মানুষ বিনামূল্যে চশমা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। যে ঘর থেকে সরবরাহকারী সংস্থা চশমা দেয়, সেই ঘরেও কর্মীরা বসছেন না বলে অভিযোগ। ফলে রোগী এবং পরিজনদের ক্ষোভ সামলাতে হচ্ছে বর্ধমান মেডিক্যালের কর্মীদের।
সূত্রের খবর, শুধুমাত্র বর্ধমান মেডিক্যালে ৬৭০ জনকে চশমা দেওয়ার কথা ছিল। তাঁরা তা পাননি। তবে সরবরাহের সময়সীমা বাড়ানোয় চলতি মাসের শেষ দিকে পরিষেবা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চশমা সরবরাহকারী একটি সংস্থার এক আধিকারিক জানান, দুর্গাপুজোর সময়েই শেষ হয়েছে তাঁদের মেয়াদ। চশমার টাকাও বকেয়া রয়েছে। তবে বকেয়ার জন্য সরবরাহ বন্ধ হয়নি। সূত্রের খবর, ২০২৪-র মার্চে শেষ বার চশমা সরবরাহকারীদের টাকা দেওয়া হয়েছিল। শুধু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই বকেয়ার পরিমাণ ২২-২৩ লক্ষ টাকা। তেমনই বকেয়া রয়েছে জেলার প্রত্যেক ব্লকেই।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, জেলায় চশমা খাতে বকেয়ার পরিমাণ তিন কোটিরও বেশি টাকা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম বলেন, ‘‘দরপত্রের সময়সীমা বৃদ্ধি হওয়ায় দ্রুত পরিষেবা শুরু হবে। বকেয়া দ্রুত পাঠানোর জন্য স্বাস্থ্যভবনে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)