চুপি পাখিরালয়ে নৌকাবিহার। নিজস্ব চিত্র
বড়দিনে ছুটির মেজাজে শহর। শনিবার থেকেই কার্যত ছুটি শুরু হয়ে গিয়েছে। রবিবার গির্জা থেকে শুরু করে রমনাবাগান মিনি জ়ু, সব জায়গাতেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দামোদরের চরেও চড়ুইভাতি করেন অনেকে।
গত দু’বছর বড়দিন বা বর্ষবরণের উৎসব হয়েছিল করোনা ভ্রুকুটি নিয়েই। বহু অনুষ্ঠান বাতিলও হয়। এ বারও করোনা সংক্রমণ ফের ছড়াচ্ছে। তবে ভিড় তার প্রভাব পড়েনি। এ দিন সকালে তেঁতুলতলা গির্জায় প্রার্থনা সভা হয়। কার্জনগেটের গির্জা থেকে কেক বিলি করা হয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানও হয়। তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলও কেক বিতরণ করে। সন্ধ্যায় মোমবাতি, ফুল নিয়ে লাইন দিয়ে গির্জায় যান বহু মানুষ।
রমনাবাগান চিড়িয়াখানা, সায়েন্স মিউজিয়াম, মেঘনাথ সাহা তারামণ্ডল, কৃষ্ণসায়র পার্কেও ছেলেমেয়েদের নিয়ে অভিভাবকেরা, দল বেঁধে অনেক জনকে ঘুরতে দেখা যায়। সায়েন্স মিউজিয়াম ও রমনাবাগান টিকিট কাউন্টারে সকাল থেকেই লম্বা লাইন ছিল। গোলাপবাগ চত্বরে থাকা এই জায়গাগুলি সকাল থেকেই উৎসবমুখর ছিল। মেমারি থেকে আসা মহম্মদ আকতার, সৃষ্টিধর দাসেরা বলেন, ‘‘একে রবিবার, তার উপরে বড়দিন। সবার ছুটি, তাই পরিবার নিয়ে বেরিয়েছি। সারা দিন ঘুরে বাইরে খাওয়াদাওয়া করে সন্ধ্যায় চার্চ ঘুরে বাড়ি ফেরা হবে।’’ সনাতন ঘোষ, শিপ্রা চক্রবর্তীরাও বলেন, ‘‘কয়েক বছর কোভিডের কারণে এই দিনগুলো ঘরে বসে কেটেছে। এ বার সংক্রমণের ভয় নেই। তাই দিনটা চুটিয়ে উপভোগ করছি।’’ আগামী সাত দিন পিকনিকের ভিড় আরও বাড়বে, দাবি তাঁদের।
কালনার বিভিন্ন পিকনিকের জায়গাতেও ভিড় দেখা যায়। রাজবাড়ি কমপ্লেক্স, ১০৮ শিবমন্দির, পূর্বস্থলীর চুপি পাখিরালয়ে প্রচুর পর্যটক আসেন। তবে ভিড় থাকলেও বেশির ভাগেরই মুখে মাস্ক ছিল না। দল বেঁধে মাইক বাজিয়ে আমবাগান, নদীর তীরে চলে পিকনিক। পাখিরালয়েও নৌকায় ঘুরে পাখি দেখা, পিকনিক চলে। মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে রবিন মণ্ডল নামে ব্যান্ডেলের এক পর্যটক বলেন, ‘‘করোনার দুটো টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। আমাদের দেশে সংক্রমণও কমে গিয়েছে। তাই মাস্ক পরছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy