মামলা রুজু নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ বিরোধীদের।
পুরভোটের ফল প্রকাশের দিন কয়েকের মধ্যে আসানসোলের নবনির্বাচিত বিরোধী কাউন্সিলর-সহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল পুলিশ। ওই ৩১ জনের বিরুদ্ধে মহামারি প্রতিরোধ আইন, নির্বাচন বিধি না মানা, সরকারি কাজে বাধা, হুমকি দেওয়া-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
পুর নির্বাচনের গণনার আগের দিন আসানসোল পলিটেকনিক কলেজে গণনাকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, সিসি ক্যামেরা ঘণ্টাখানেকের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জও করে পুলিশ। সেই ঘটনাকে সামনে রেখেই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আসানসোলের কংগ্রেস কাউন্সিলর গোলাম সারওয়ার ও মহম্মদ মুস্তফা, বিজেপি কাউন্সিলর গৌরব গুপ্ত-সহ মোট ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
মামলা করা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে বিরোধী শিবিরে। আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির প্রশ্ন, ‘‘তৃণমূলের নেতারা কয়েকটি আসনে হার হজম করতে না পেরে পুলিশকে দিয়ে আর কত অন্যায় করাবেন?’’
খনি এলাকার সিপিএম নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘নির্বাচনের পরেও ভয়াবহ সন্ত্রাস চলছে আসানসোলে। বেছে বেছে বামপন্থী কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দলমত নির্বিশেষে এর প্রতিবাদ করা উচিত।’’
পুলিশি পদক্ষেপ নিয়ে রানিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘অন্যায় কাজের কী পরিণাম হয় তা আগেই ভাবা উচিত ছিল। ইভিএম তো পশ্চিমবঙ্গে তৈরি করে না। কেন্দ্রীয় সরকার সরবরাহ করে। ওরা অকারণেই একটি সংরক্ষিত এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। পুলিশ কি বলবে? চা খান, লাড্ডু খান? এটা খুবই বোকার মতো কাজ হয়েছে। আমার নামেও ছ’টা মামলা আছে। আমি কি কেঁদে বেড়াচ্ছি?’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy