এই সেতু নিয়েই সমস্যা। নিজস্ব চিত্র।
সংস্কারের কাজ চলছে জীর্ণ সেতুর। সেতুর অবস্থার জন্য বছর চারেক ধরে ভারী যান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু ওই বেহাল সেতু দিয়েই বালি, পাথরবোঝাই ট্রাক, ডাম্পার চলছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। কিন্তু বাস চলছে না। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের নানা স্তরে দ্রুত সেতু সংস্কারের কাজ শেষ করা ও বাস চলাচল ফের শুরুর দাবি জানিয়েছেন বুদবুদের পাণ্ডুদহ গ্রাম-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। পূর্ত দফতরের আশ্বাস, দ্রুত সেতুর কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।
গলসি ১-এর লোয়াপুর-কৃষ্ণরামপুর পঞ্চায়েতের পাণ্ডুদহ গ্রামের কাছে, বর্ধমান সেচখালের উপরে রয়েছে জীর্ণ সেতুটি। বাসিন্দারা জানান, সেতুর দু’পাশের রেলিং সংস্কার, দু’দিকে ‘হাইট-বার’ বসানো হয়েছে। কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেতু দিয়ে ট্রাক, ডাম্পার চললেও বাস না চলায় সমস্যায় পড়েছেন প্রায় ৩৫টি গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ ফয়দুর রহমান, শেখ নুরুল হুদারা জানান, তিলডাঙ থেকে কসবা যাওয়ার রাস্তায় থাকা সেতুটি দিয়ে ফি দিন বর্ধমানগামী চারটি ও বেনাচিতিগামী একটি বাস চলাচল করত। কিন্তু সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধের পরে, বাসগুলি বর্ধমান সেচখালের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এই পরিস্থিতিতে কসবা, কৃষ্ণরামপুর, বেলেডাঙা, মৌগ্রাম-সহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের টোটো ভাড়া করে অথবা অন্য কোনও উপায়ে সেতু পেরিয়ে বাসে চাপতে হচ্ছে। ফলে, যাতায়াতের খরচ বেড়েছে। বাসিন্দারা জানান, কসবা থেকে বুসবুদ যেতে বাস ভাড়া পড়ত ১৫ টাকা। কিন্তু এখন পাণ্ডুদহের সেতু পার করার জন্য টোটো ভাড়া দিতে হয় আরও ১০ টাকা। এ দিকে, এলাকার বহু চাষি প্রতিদিন আনাজ নিয়ে বেনাচিতি, বুদবুদ বাজারে যান। স্থানীয় বাসিন্দা হালিম শেখ বলেন, ‘‘করোনা মহামারির কারণে সকলেরই আর্থিক অবস্থা খারাপ। এই অবস্থায় খরচ বেশি হওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন চাষিরাও।’’
বাসিন্দাদের প্রশ্ন: বাসগুলি যেতে পারছে না অথচ সেতু দিয়ে অন্য ভারী যান চলাচল করছে কী ভাবে! এ বিষয়ে গলসির তৃণমূল বিধায়ক অলোককুমার মাঝি বলেন, ‘‘লকডাউনের জেরে কাজ বন্ধ ছিল। সেতুটি পুরো সংস্কার করা হচ্ছে। এ ছাড়া, কোনও ভারী যানবাহন চলাচল করলে, প্রশাসন পদক্ষেপ করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy