Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Poster Against TMC Leader

টাকা-বিতর্ক উস্কে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পোস্টার

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুকুমার এলাকার পরিচিত তৃণমূল নেতা। তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির দু’বারের সদস্য।

এই ধরনের পোস্টার ঘিরে বিতর্ক মলানদিঘিতে।

এই ধরনের পোস্টার ঘিরে বিতর্ক মলানদিঘিতে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:২৫
Share: Save:

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র টাকা না দিলে, দলের তরফেই একশো দিনের বকেয়া টাকা সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের দেওয়া হবে। সেই মতো, পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার মলানদিঘি গ্রামের সুকুমার সাহাকে দু’হাজার টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দলের ব্লক সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক তৈরি হয়। এ বার সুকুমারের বিরুদ্ধেই নানা পোস্টার পড়ল। যাকে ঘিরে ফের শুরু হয়েছে তরজা। সুকুমার বলেন, “পোস্টারের কথা শুনেছি। তবে কে বা কারা এই কাজ করেছে, তা জানি না।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুকুমার এলাকার পরিচিত তৃণমূল নেতা। তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির দু’বারের সদস্য। এক সময় পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষও ছিলেন। কয়েক মাস আগে একশো দিনের বকেয়া টাকা চেয়ে তৃণমূলের দিল্লির কর্মসূচিতেও যোগ দিয়েছিলেন সুকুমার। তাঁকেই সম্প্রতি অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। এ দিকে, বিরোধীদের দাবি, সুকুমারের দোতলা পাকা বাড়ি রয়েছে। হাটতলা এলাকায় প্রসাধনী সামগ্রীর একটি দোকানও রয়েছে। এই প্রসঙ্গ তুলেই বিরোধীরা সরব হয়েছে।

যদিও সুকুমার যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, ২০১০ থেকে তাঁর ‘জব কার্ড’ রয়েছে। তখন থেকেই একশো দিনের শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। তিনি মাটির বাড়িতে বাস করেন। যে দোতলা বাড়ির কথা বলা হচ্ছে, সেটি তাঁর মামাদের। তাঁর আরও দাবি, তাঁর বাবা দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে (ডিএসপি) কাজ করতেন। বর্তমানে তাঁর দাদা ডিএসপিতে এবং ভাই রাজ্য পুলিশে কাজ করেন। তাঁরাই সুকুমারকে দোকানটি করে দিয়েছেন। সুকুমারের সংযোজন: “একশো দিনের প্রকল্পে আমার ২৫ দিনের টাকা বকেয়া রয়েছে। বিরোধীরা চক্রান্ত করতেই এমন অভিযোগ করছেন।”

সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই তাঁর বিরুদ্ধেই নিজের এলাকায় পোস্টার পড়েছে। যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেই সব পোস্টারে লেখা, ‘৮ লক্ষ টাকার গাড়ির মালিক জব কার্ডধারী, ভাঁওতাবাজ তৃণমূল নেতা সুকুমার সাহা গরিব মানুষের টাকা আত্মসাৎকারী...’। আবার কোনও পোস্টারে ব্লক সভাপতি যে টাকা দিচ্ছেন সুকুমারকে, সেই ছবিও রয়েছে। এ রকম পোস্টার মলানদিঘি হাটতলা, পেট্রল পাম্পের সামনে-সহ বিভিন্ন জায়গায় সাঁটানো রয়েছে।

পোস্টার প্রসঙ্গে বিজেপির কাঁকসা ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপতি সপ্তম দাসের দাবি, আসলে তৃণমূলের চুরির জন্য যাঁরা একশো দিনের টাকা পাচ্ছেন না, তাঁরা ক্ষোভে এই কাজ করেছেন। যদিও তৃণমূলের কাঁকসা ব্লক সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্যের দাবি, “এটা সম্পূর্ণ বিরোধীদের চক্রান্ত। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kanksa
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE