পারুলিয়া শিবতলায় ১৬৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার পাচ্ছেন না স্কুল পড়ুয়া এবং গর্ভবতী মহিলারা। — নিজস্ব চিত্র।
চাল ‘বাড়ন্ত’। তাই রান্না বন্ধ। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার পাচ্ছেন না স্কুল পড়ুয়া এবং গর্ভবতী মহিলারা। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী-২ ব্লকের পারুলিয়া শিবতলায় ১৬৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘটনা। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বাইরের দেওয়ালে বিষয়টি স্পষ্ট করে লিখেও রাখা রয়েছে যে, ‘‘চাল নেই বলে রান্না বন্ধ।’’
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণি সুকুমারী সাঁতরা বলেন, ‘‘চাল না থাকার কারণে রান্না বন্ধ রেখেছি। এখানে প্রতি দিন গড়ে ৬৮ থেকে ৭০ জনের রান্না হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ কবে চাল আসবে, কবে রান্না শুরু হবে? সুকুমারী বলেন, ‘‘আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সুতরাং এটা তাঁরাই বলতে পারবেন।’’
পূর্বস্থলী-২ ব্লকের বিডিও সৌমিক বাগচী বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে নিশ্চয়ই সরবরাহের কোনও গন্ডগোল হয়েছে। যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের উচিত ছিল এই বিষয়ে খোঁজ খবর রাখা। তাঁরা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের জন্য খাতাপত্র নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু এটা তাদের উদাসীনতা।’’ জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে খুব দ্রুত রান্না চালু করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ সম্প্রতি রাজ্যের মিড ডে মিল নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পর তা খতিয়ে দেখতে এসেছিল কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। কী ভাবে রান্না হয়, তা রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ঘুরে ঘুরে দেখেন দলের সদস্যরা। তার পরেই ফের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বন্ধ রান্না। তৈরি হল নতুন বিতর্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy