Advertisement
E-Paper

ট্রেন চলার প্রস্তুতি, চিন্তা যাত্রী নিয়ন্ত্রণে

আরপিএফের (হাওড়া) এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘বড় স্টেশনে টহল দিয়ে ভিড় আটকানো যাবে। ছোট স্টেশনে যাত্রী উঠলে কিছু করার থাকবে না। সেটা আটকানোর মতো পরিকাঠামো নেই।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২০ ০১:২৯
পূর্বস্থলী স্টেশনে দূরত্ব রেখে দাঁড়ানোর জন্য দাগ দেওয়া। নিজস্ব চিত্র।

পূর্বস্থলী স্টেশনে দূরত্ব রেখে দাঁড়ানোর জন্য দাগ দেওয়া। নিজস্ব চিত্র।

কাল, বুধবার থেকে ট্রেন চলবে অল্প সংখ্যায়। যাত্রীও তোলা হবে আসন সংখ্যার অর্ধেকের কাছাকাছি। তার আগে স্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থা থেকে যাত্রী নিয়ন্ত্রণের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখলেন রেল-কর্তারা।

রেল সূত্রে জানা যায়, দু’টি আসনের মাঝের আসনে রঙ দিয়ে ‘কাটা চিহ্ন’ দেওয়া থাকবে। সেখানে যাত্রীদের বসতে নিষেধ করে প্রচার চালানো হবে। প্রতিটি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে রেল রক্ষী বাহিনী (আরপিএফ), রেল পুলিশ (জিআরপি) টহল দেবে। প্ল্যাটফর্মে অযাচিত ভিড় না করা, স্বাস্থ্য-বিধি মেনে ট্রেনে ওঠার জন্য যাত্রীদের বলবেন তাঁরা। এ ছাড়া, স্টেশনের বাইরে যাত্রী সামলানোর জন্য জেলা পুলিশের সাহায্য নেবে রেল। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রতিটি যাত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, করোনা-পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য-বিধি মেনে ট্রেনে উঠুন। রেল পরিবারকে সহযোগিতা করুন।’’

বুধবার থেকে রাজ্যের হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখার সাবার্বান এলাকায় ট্রেন চলবে বলে রবিবার রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রেল। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে ১০ জোড়া, ওই শাখার কর্ড লাইনে ১১ জোড়া, হাওড়া-মশাগ্রাম রুটে দু’জোড়া, বর্ধমান-কাটোয়া রুটে চার জোড়া, হাওড়া-কাটোয়া রুটে ছ’জোড়া, ব্যান্ডেল-কাটোয়া রুটে চার জোড়া ট্রেন দিনে যাতায়াত করবে। আসানসোল ও রামপুরহাট রুটে কোনও ট্রেন বুধবার থেকে চালু হচ্ছে না। বেশি ট্রেন থাকার পরেও গাদাগাদি হয়ে যাওয়াটা যেখানে দস্তুর, সেখানে কী ভাবে অর্ধেক যাত্রী তোলা হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে আরপিএফ ও রেল পুলিশ।

আরপিএফের (হাওড়া) এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘বড় স্টেশনে টহল দিয়ে ভিড় আটকানো যাবে। ছোট স্টেশনে যাত্রী উঠলে কিছু করার থাকবে না। সেটা আটকানোর মতো পরিকাঠামো নেই।’’ তাঁর দাবি, আরপিএফের বেশির ভাগ জওয়ানের বাড়ি বিহার ও উত্তরপ্রদেশে। দীপাবলি ও ছটপুজো সেখানকার প্রধান উৎসব। ফলে, অনেকেই ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে যাবেন। তখন যাত্রীদের ভিড় সামলানো মুশকিল হবে।

সোমবার কাটোয়া ও বর্ধমান স্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থা থেকে খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে দেখেন রেলের কর্তারা। কাটোয়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে সাদা রঙ দিয়ে গোল করে দাগ কাটা হয়। এ দিন সকাল থেকে মান্থলি বা মাসিক টিকিট খতিয়ে দেখে মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ দিয়েছে রেল। বর্ধমান স্টেশনে টিকিট কাউন্টার খোলা থাকলেও কাটোয়া স্টেশনে বন্ধ থাকায় নিত্যযাত্রীরা সেই সুযোগ পাননি। স্টেশন ম্যানেজার (কাটোয়া) অরূপকুমার সরকার বলেন, ‘‘আমাদের কাছে কোনও নির্দেশিকা আসেনি।’’ বর্ধমান স্টেশনে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত একশো জন যাত্রী মাসিক টিকিটের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন। সংরক্ষিত কাউন্টারে অল্প সংখ্যক যাত্রী থাকলেও কোনও বিধি ছিল না। স্টেশন ম্যানেজার (বর্ধমান) রঞ্জিত কুমার বলেন, ‘‘ভিড় কম করা, জীবাণুনাশক ব্যবহার, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক—এই তিনটে বিষয়ের উপরে জোর দিয়ে ক্রমাগত প্রচার চালানো হবে।’’

Preparation Local train Inadian Railways
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy