Advertisement
E-Paper

দুর্গাপুরের কারখানায় গোলমাল

আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি তথা দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের উপস্থিতিতে ধুন্ধুমার বাধল দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার একটি বেসরকারি কারখানায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশ তা মানেনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২০ ০৪:১৫
দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার বেসরকারি কারখানার গেটের সামনে এ ভাবেই উত্তেজনা ছড়াল।

দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার বেসরকারি কারখানার গেটের সামনে এ ভাবেই উত্তেজনা ছড়াল।

আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি তথা দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের উপস্থিতিতে ধুন্ধুমার বাধল দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার একটি বেসরকারি কারখানায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশ তা মানেনি।

কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিশ্বনাথবাবু দুর্গাপুর পুরসভার কয়েকজন কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে গ্রাফাইটের ইলেকট্রোড এবং কার্বনের নানা সামগ্রী উৎপাদনকারী ওই কারখানার গেটে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন। সঙ্গে ছিলেন এলাকাবাসীর একাংশও। বিশ্বনাথবাবুর দাবি, এ দিন তিনি কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেননি। সংগঠনের জেলা সভাপতি

সঙ্গে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ করতে এসেছিলেন।

বিশ্বনাথবাবু সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, কারখানার ভিতরে থাকা শ্রমিকদের একাংশ ও কর্তৃপক্ষের একাংশ তাঁদের ভিতরে ঢুকতে দেননি। তাঁদের কালো পতাকা দেখানো হয়। এর পরে তিনি প্রকাশ্যেই বলেন, ‘‘কারখানার ভিতরে আমরা ঢুকবই। কর্তৃপক্ষকে আগাম জানিয়ে এসেছি। তা সত্ত্বেও এ ভাবে আমাদের আটকানোর অর্থ, আমাদের অসম্মান করা হচ্ছে।’’

পরিস্থিতি সামাল দিতে আগেভাগেই কারখানার গেটে পুলিশ ব্যারিকেড করে রেখেছিল। দু’-এক বার ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টাও হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই ছিল। তবে পরিস্থিতি বদলে যায় বিকেলের দিকে। অভিযোগ, আচমকা এলাকায় ও সংগঠনের অন্দরে বিশ্বনাথবাবুর অনুগামী বলে পরিচিত কয়েকজন জোর করে কারখানার ভিতরে ঢুকে পড়েন। সেই সময়ে ভিতরে থাকা লোকজন এবং বিশ্বনাথবাবুর অনুগামীরা রড, লাঠি হাতে পরস্পরের উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের কয়েকজন জখমও হন। যদিও হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্বনাথবাবু।

এই পরিস্থিতিতে গোলমাল বাধে কারখানা চত্বরে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ লাঠি চালিয়ে এলাকা ফাঁকা করে দেয় বলে এলাকাবাসীর একাংশের দাবি। পুরসভার ৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান, দলের অন্দরে বিশ্বনাথবাবুর অনুগামী বলে পরিচিত চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘পুলিশের লাঠি আমার হাতে লেগেছে।’’ পুলিশ যদিও লাঠি চালানোর অভিযোগ মানেনি। ঘটনায় তাঁদের কারও জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানা কর্তৃপক্ষ। তবে, কারখানার এক আধিকারিকের দাবি, বিশ্বনাথবাবু আগাম কারখানায় আসার কথা জানিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু তিনি সকালে সদলবদলে কারখানায় হাজির হওয়ায় কারখানার গেট নিরাপত্তার খাতিরে বন্ধ রাখতে হয়। এ দিনের পরিস্থিতির জেরে দিনভর কারখানায় উৎপাদন বন্ধ ছিল বলেও তাঁর দাবি।

INTTUC TMC MAMATA BANERJEE FACTORY
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy