Advertisement
E-Paper

ট্রাকের গতি প্রাণ কাড়ল, বিক্ষোভ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেন্দুয়া মোড়ের কাছে আসানসোল-চিত্তরঞ্জন রোড লাগোয়া একটি অনুষ্ঠানবাড়িতে বরযাত্রীর গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন দুই চালক সন্তোষ পাসোয়ান (৩১) ও সুনীল বেলদার (৩০)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:১২
সালানপুরের রাস্তায় বিক্ষোভ-আগুন মৃতদের পরিজন-প্রতিবেশীদের। শনিবার। ছবি: পাপন চৌধুরী

সালানপুরের রাস্তায় বিক্ষোভ-আগুন মৃতদের পরিজন-প্রতিবেশীদের। শনিবার। ছবি: পাপন চৌধুরী

ঢালু রাস্তা দিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে আসছিল ট্রাক। হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারান চালক। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের পরপর ধাক্কা দেয় ট্রাকটি। শুক্রবার রাতে সালানপুরে দেন্দুয়া মোড়ের কাছে এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন। গুরুতর আহত হয়েছেন এক জন। লাগামছাড়া গতির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের। তাঁদের অভিযোগ, এই রকম গতির কারণে মাঝে-মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেন্দুয়া মোড়ের কাছে আসানসোল-চিত্তরঞ্জন রোড লাগোয়া একটি অনুষ্ঠানবাড়িতে বরযাত্রীর গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন দুই চালক সন্তোষ পাসোয়ান (৩১) ও সুনীল বেলদার (৩০)। নির্দিষ্ট জায়গায় গাড়ি রেখে তাঁরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। তখনই চিত্তরঞ্জনের দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসছিল খালি ট্রাকটি। হুড়মুড় করে সেটি তাঁদের উপরে এসে পড়ে। তাঁদের টেনেহিঁচড়ে আরও কিছুটা দূরে নিয়ে যায়। ধাক্কা দেয় আর এক পথচারীকেও। তার পরে রাস্তার পাশে একটি গাছে ধাক্কা দিয়ে ট্রাকটি দাঁড়িয়ে পড়ে। এর পরেই চালক-খালাসি পালিয়ে যায়।

দুর্ঘটনার পরেই এলাকায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়। বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, চিত্তরঞ্জন রোড ধরে প্রতিদিন কয়েক হাজার পণ্যবাহী ট্রাক ও কয়লা বোঝাই ডাম্পার যাতায়াত করে। রাস্তাটি ভাল হওয়ায় ট্রাক-ডাম্পারগুলি দ্রুত গতিতে ছোটে। এই অঞ্চলে রাস্তা অপেক্ষাকৃত ঢালু হওয়ায় মাঝেমাঝেই নানা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারায় বলে বাসিন্দাদের দাবি। শুক্রবার রাতেও তেমনটাই ঘটেছিল বলে জানান তাঁরা। এলাকাবাসীর দাবি, গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তাঁরা রাস্তায় হাম্প ও গার্ডরেল বসানোর আবেদন জানালেও ফল হয়নি। শুক্রবার রাতেও ফের সেই দাবিতে সরব হন তাঁরা।

দুর্ঘটনায় আহতের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। শনিবার দু’জনের দেহ ময়না-তদন্তের পরে, ক্ষতিপূরণের দাবিতে সালানপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান আত্মীয়-পরিজনেরা। পুলিশ দেহ সৎকারের জন্য কিছু সাহায্য করতে চাইলেও তাঁরা তা নিতে চাননি। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিকেলে রাস্তায় দেহ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন মৃতের পরিজনেরা।

পুলিশ তিন দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়ার পরে বিক্ষোভ থামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রাস্তায় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে হাম্প ও গার্ডরেল বসানোর চিন্তাভাবনা চলছে।

Salanpur Accident
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy