Advertisement
E-Paper

চাঁদা তুলছেন মহিলারাই

পুজোর বাজেট ঠিক করেছেন ওঁরাই। মণ্ডপ-সজ্জার পরিকল্পনা, মূর্তির খোঁজ থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান— সব কিছুতেই রয়েছেন ওঁরা। দুর্গাপুরের বেশ কয়েকটি পুজোর দায়িত্বে এ বার বাড়ির দশভূজারই।

অর্পিতা মজুমদার

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৩৪
শেষ মুহূর্তের চাঁদা তোলা। ছবি: বিকাশ মশান।

শেষ মুহূর্তের চাঁদা তোলা। ছবি: বিকাশ মশান।

পুজোর বাজেট ঠিক করেছেন ওঁরাই। মণ্ডপ-সজ্জার পরিকল্পনা, মূর্তির খোঁজ থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান— সব কিছুতেই রয়েছেন ওঁরা। দুর্গাপুরের বেশ কয়েকটি পুজোর দায়িত্বে এ বার বাড়ির দশভূজারই।

অর্ধ শতাব্দী পুরনো ৬৪০টি ডিএসপি কোয়ার্টাসের পুজো। পুজো হয় দুর্গাপুরের তিলক রোডের ধারে ২০-১৮ নম্বরের মাঝের মাঠে। এত দিন পর্যন্ত পাড়ার ছেলেরাই পুজোর আয়োজনে থাকতেন। কিন্তু এ বার পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে ‘রণং দেহী’ মেজাজে মধুমিতা গুহ, দেবযানী সিংহরায়, তৃণা চক্রবর্তী, রীণা পোদ্দারেরা। চাঁদা তোলা, মূর্তির অর্ডার দেওয়া— সব দায়িত্বই নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন ওঁরা। পুজোর এক মাস আগে থেকেই চাঁদা তোলা, পাড়ার খুদেদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য তালিম দেওয়া, সব দিকই সামলাচ্ছেন তাঁরা। হঠাৎ এমন পরিকল্পনা নেওয়া কেন? মধুমিতাদেবীরা বলেন, ‘‘অন্যান্য বার আমরা তো নীরবে কাজ করি। বাইরের বহু কাজ সেরে বাড়ির ছেলেদের পুজো সামলাতে নাজেহাল হতে হয়। তাই এ বার আমরাই নেমে পড়লাম।’’ তবে বাড়ির ছেলেদের সাহায্য ভাল মতোই মিলছে বলে জানান তমালিকা মণ্ডল, প্রণতি ভট্টাচার্যেরা। প্রতি দিন কাজ থেকে ফিরে পুজোর পস্তুতি কেমন, সে খবরটা অবশ্য নিচ্ছেন দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, অজিত চক্রবর্তীরা।

২৬-এ পা দিয়েছে রবীন্দ্রপল্লির এ ব্লকের সর্বজনীন দুর্গোৎসব। তিনশো পরিবারের এই পুজোর দায়িত্বেও পাড়ার দিদি-বৌদিরাই। দায়িত্ব সামলাতে তৈরি হয়েছে ৫০ জনের ‘প্রমীলা বাহিনী’। পুজোর দেড়-দু’মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছে পরিকল্পনা। চাঁদা তোলা, মূর্তির অর্ডার দেওয়ার পাশাপাশি ভোগ রান্না, ভোগ বিতরণ সবই করছে ওই বাহিনী। তবে এই গুরুদায়িত্ব ভাল ভাবেই পালন করতে পারবেন বলে আত্মবিশ্বাসী চিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপিকা সাহা, দেবযানী সান্যালরা। বাড়ির মহিলাদের এমন উদ্যোগে খুশি অসিত ঘোষাল, মানস পাল, শান্তনু মিত্ররাও।

বেনাচিতির নিবেদিতা প্লেসের পুজোর দায়িত্বেও মহিলারা। স্থায়ী মণ্ডপেই পুজো হয় এখানে। গত ২৩ বছর ধরে ৪০০টি পরিবার পুজোর সঙ্গে যুক্ত। বাজেট প্রায় ৫ লাখ টাকা। অষ্টমীর দিন ভোগের দায়িত্বও ভাগ করে নিয়েছেন প্রমীলারাই। মধুমিতা শীল, পূরবী চট্টোপাধ্যায়, মিতালী নন্দীরা বলেন, ‘‘পুজোর আগে খুব চাপ থাকে। তবে আমরা সবাই একজোট হয়ে কাজ করছি।’’— এই মেজাজটাই মহিলা পরিচালিত পুজোর প্রধান টিআরপি।

Puja subscription
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy