রাজু ঝা খুনে গ্রেফতার অভিজিৎ মণ্ডল। — ফাইল চিত্র।
রাজেশ ঝা ওরফে রাজু খুনে ১৯ দিনের মাথায় প্রথম গ্রেফতার। ওই খুনে জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক যুবককে। বুধবার ধৃতকে হাজির করানো হয়েছিল আদালতে। বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু খুনে ধৃতের নাম অভিজিৎ মণ্ডল। তিনি পানাগড়ের বাসিন্দা। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজুকে খুনের পর পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অভিজিৎ। নানা সূত্র ধরেই এ বার গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। রাজু খুনে অভিজিতের কী ভূমিকা ছিল তা জানতে তাঁকে জেরা চলছে। পরে সাংবাদিক বৈঠকে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘‘আমরা এক জনকে গতকাল রাতে গ্রেফতার করেছি। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব আমরা। ধৃত দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি দফতরে চাকরি করতেন। তাঁর আদত বাড়ি বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটিতে।’’
গত ১ এপ্রিল শনিবার রাত ৮টা নাগাদ শক্তিগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে খুন করা হয়েছিল রাজুকে। একটি সাদা ফরচুনা গাড়ির চালকের বাঁ পাশের আসনে বসেছিলেন তিনি। এ ছাড়া গাড়িতে ছিলেন তাঁর সহযোগী ব্রতীন মুখোপাধ্যায় এবং আব্দুল লতিফ নামে বীরভূমের এক ব্যবসায়ী। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, সাদা ফরচুনা গাড়িটির ঠিক পিছনে নীল রঙের একটি চারচাকা গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছিল ওই দিন। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকা ওই গাড়িটি থেকে ৩ জন নেমে এসে দাঁড়িয়ে থাকা সাদা ফরচুনা গাড়িটি ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি গুলি চালান। ঘটনাস্থলেই ম়ৃত্যু হয় রাজুর। গুরুতর আহত অবস্থায় ব্রতীনকে উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। যদিও গাড়ির চালক এবং লতিফের কোনও ক্ষতি হয়নি। ওই কাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। আঁকা হয় হত্যাকারীদের স্কেচ। এ নিয়ে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার আমন সিংহকে আলাদা ঘরে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা জেরাও করেন সিটের সদস্যরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy