Advertisement
E-Paper

‘ঢিমেতালে’ সংস্কার, রাস্তা কেটে প্রতিবাদ

সংস্কার বন্ধ যে রাস্তাটির, সেটি দিয়েই পানাগড় যাতায়াত করেন অন্তত ৫০টি গ্রামের বাসিন্দারা। চলে পাঁচটি যাত্রিবাহী বাস, চারটি ট্রেকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২০ ০১:৩৭
এই রাস্তাটিই কেটে ফেলা হয়েছে। চাকতেঁতুলের দক্ষিণপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র

এই রাস্তাটিই কেটে ফেলা হয়েছে। চাকতেঁতুলের দক্ষিণপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র

রাস্তার কাজ দ্রুত করার দাবিতে রাস্তা কেটেই প্রতিবাদ! মঙ্গলবার রাতে বুদবুদের কসবা থেকে চাকতেঁতুল হয়ে পানাগড়গামী রাস্তায় এই ঘটনা ঘটেছে। ফলে, ওই রাস্তায় বুধবার রাত পর্যন্ত যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, ওই রাস্তায় গাড়ি চললে বিপদ বাড়ত। তা ছাড়া, রাস্তা সারাইয়ের জন্য বহু বার প্রশাসনের কাছে দরবার করেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। তাই এমন ‘প্রতিবাদ’।

বুদবুদের কসবা থেকে একটি রাস্তা চলে গিয়েছে চাকতেঁতুল। সেখান থেকে রাস্তা দু’টি ভাগে ভাগ হয়ে একটি অনুরাগপুর হয়ে পানাগড় গিয়েছে, অন্যটি রণডিহা, শালডাঙা হয়ে সিলামপুরের কাছে পানাগড় যাওয়ার রাস্তায় মিশেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দু’টি রাস্তাই প্রায় বছর দশেক ধরে বেহাল ছিল। পূর্ত দফতর শেষমেশ বছর দু’য়েক আগে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার রাস্তা ৪২ কোটি টাকায় সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। শুরু হয় কাজও। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, রণডিহা থেকে সিলামপুর পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার হলেও দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ চাকতেঁতুল হয়ে পানাগড়গামী রাস্তাটির।

অথচ, সংস্কার বন্ধ যে রাস্তাটির, সেটি দিয়েই পানাগড় যাতায়াত করেন অন্তত ৫০টি গ্রামের বাসিন্দারা। চলে পাঁচটি যাত্রিবাহী বাস, চারটি ট্রেকার। চাকতেঁতুলের বাসিন্দা সৌরভ ঘোষ, বিধান ঘোষদের ক্ষোভ, ‘‘রাস্তাটি বেহাল থাকায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রশাসনের কাছে বারবার দরবার করেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ে মঙ্গলবার। চাকতেঁতুলের দক্ষিণপাড়ায় একটি ডাম্পার উল্টে যায়। এলাকাবাসীর দাবি, রাস্তা বেহাল হওয়াতেই এই ঘটনা। অমিত ঘোষ, মিলন মণ্ডলেরা জানান, কয়েকজন গ্রামবাসী এর পরেই ঠিক করেন, সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। না হলে বিপত্তি, দুর্ঘটনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। এর পরে ওই রাতেই দক্ষিণপাড়ায় রাস্তার একাংশ কেটে ফেলা হয়। অমিতবাবুদের কথায়, ‘‘যাত্রিবাহী বাস দুর্ঘটনায় পড়লে বড় বিপত্তি ঘটতে পারে। তার দায় কে নেবে? তাই, সব গ্রামবাসীই রাস্তাটি আপাতত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’

এই পরিস্থিতিতে বুধবার ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করেনি। পাঁচটি যাত্রিবাহী বাস চলাচল বন্ধ করেছে। ফলে, পথের ভোগান্তি বেড়েছে এলাকায়। কিন্তু মোটরবাইক নিয়ে অনেকেই বিপজ্জনক ভাবে রাস্তার কাটা অংশ পারাপার করছেন। বিষয়টি নিয়ে চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘গ্রামবাসীদের ক্ষোভের কথা জেনেছি। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য বলেছি। সমস্যা মিটে যাবে।’’ পূর্ত দফতর বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।

Budbud Road Construction
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy