Advertisement
E-Paper

বড়দিনের মুখেও চাহিদা নেই, চিন্তায় বেকারি

কালনায় আটটি বেকারি সারা বছর বিস্কুট তৈরি করে। তবে বড়দিনের মাসখানেক আগে থেকে তারা নেমে পড়ে কেক তৈরিতে। ছোট-বড় নানা আকারের কেক তৈরি করে রঙিন মোড়কে ভরে এই জেলা তো বটেই, আশপাশের জেলাতেও পাঠানো হয়।

কেদারনাথ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:২০
কালনার এক বেকারিতে ব্যস্ত কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

কালনার এক বেকারিতে ব্যস্ত কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

এসে গিয়েছে বড়দিন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে দেরিতে। সেই সঙ্গে রয়েছে খুচরো নিয়ে সমস্যা। এই দুইয়ের জেরে এ বার কেকের চাহিদা বাড়ছে না সে ভাবে, দাবি স্থানীয় বেকারিগুলির।

কালনায় আটটি বেকারি সারা বছর বিস্কুট তৈরি করে। তবে বড়দিনের মাসখানেক আগে থেকে তারা নেমে পড়ে কেক তৈরিতে। ছোট-বড় নানা আকারের কেক তৈরি করে রঙিন মোড়কে ভরে এই জেলা তো বটেই, আশপাশের জেলাতেও পাঠানো হয়। কেক প্রস্তুতকারীরা জানান, ডিসেম্বরের গোড়া থেকেই জোরকদমে শুরু হয়ে যায় কেক বিক্রি। কিন্তু এ বার কেউ সবে কাজে হাত দিয়েছেন, কেউ বা এখনও প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

কালনার বকুলতলার এক বেকারির কর্তা-কর্মীরা জানান, প্রতি বছর ৪০ হাজারেরও বেশি কেক তৈরি করেন তাঁরা। সে জন্য রয়েছে আধুনিক যন্ত্র। কিন্তু এ বার সবে কাজ শুরু হয়েছে। তাঁদের দাবি, শীত পড়তে দেরি হওয়ায় আয়োজন থাকলেও আগে কেক তৈরি করা যায়নি। কেকের বাজার নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, গত বছর নোট বাতিলের পর থেকে বাজারে খুচরোর জোগান অনেকে বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে হকারেরা গ্রাম ও শহরের দোকানে বিস্কুট, পাঁউরুটি দিয়ে প্রচুর কয়েন আনতে শুরু করেন। এত খুচরোর বিনিময়ে মালপত্র দিতে সমস্যায় পড়ছে বেকারিগুলি। ব্যাঙ্ক বেশি খুচরো জমা নিতে চাইছে না। আবার, কয়েন দিয়ে কেক তৈরির মালপত্রও কেনা যাচ্ছে না। ফলে, ঘরে জমে রয়েছে বিপুল খুচরো। ব্যবসায়ীদের দাবি, তেল, ডিম, রঙিন মোড়ক-সহ নানা উপকরণের দামও বেড়ে গিয়েছে। সব মিলিয়েই বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।

বকুলতলার বেকারির কর্তা খগেন বর্মণ বলেন, ‘‘বড়দিনের কেক বিক্রিতে সব থেকে চিন্তা খুচরো পয়সা নিয়ে। হকারেরা খুচরো দিয়ে কিনতে চাইছেন। কিন্তু এত কয়েন নেওয়া সম্ভব নয়। তাই সবাইকে তাঁদের চাহিদা মতো মালপত্র দেওয়া যাচ্ছে না। তাঁর দাবি, এখনও তাঁদের কাছে সাত লক্ষ টাকার কয়েন রয়েছে, যার মধ্যে একটি বড় অংশ এক ও দু’টাকা। আর একটি বেকারির তরফে রাজা শেখ বলেন, ‘‘কয়েনের সমস্যার জন্য খরিদ্দারদের চাহিদা মতো মাল দিতে পারছি না। অন্য বারের তুলনায় এ বার কেক বিক্রি কিছুটা কম।’’ তবে বড়দিনের ঠিক আগে জাঁকিয়ে শীত পড়লে পরিস্থিতিটা পাল্টে যাবে, আশায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

Retail Crisis Bakery Kalna কালনা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy