E-Paper

কারখানায় লুট

রক্ষীদের দাবি, কারখানার পিছন দিকের পাঁচিল টপকে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢোকে। রক্ষী ধীমান হাজরার বন্দুকটি কেড়ে নিয়ে তারা কারখানা চত্বরে নজর রাখে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৪৩
এই জানলা ভেঙে ভিতরে ঢুকে লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা।

এই জানলা ভেঙে ভিতরে ঢুকে লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। —নিজস্ব চিত্র।

নিরাপত্তারক্ষীদের আটকে রেখে বন্ধ জল কারখানায় বুধবার রাতে লুটপাটের অভিযোগ উঠল। কাঁকসার ঘটনা।

কয়েক বছর আগে সুন্দিয়ারা গ্রাম লাগোয়া কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। দেখভালের জন্য এক বন্দুকধারী-সহ তিন জন রক্ষী আছেন। তাঁরা জানান, রাত তখন ১২টা। কারখানার চারপাশে টহল দেওয়ার পরে, তাঁরা একটি জায়গায় বসে পড়েন। অজিত লাহা নামে এক রক্ষীর অভিযোগ, আচমকা প্রায় ৩০ জন দুষ্কৃতী তাঁদের ঘিরে ধরে। প্রত্যেকের হাতে লাঠি ও অস্ত্র ছিল। দুষ্কৃতীরা কারখানার বন্ধ গেটগুলির চাবি খুঁজতে থাকে। চাবি না পেয়ে তাঁদের মারধর করা হয়। কারখানায় থাকা সিসি ক্যামেরাগুলি ভেঙে দেয়। পরে, কারখানার একটি জানলা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে লুটপাট চালায়।

রক্ষীদের দাবি, কারখানার পিছন দিকের পাঁচিল টপকে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢোকে। রক্ষী ধীমান হাজরার বন্দুকটি কেড়ে নিয়ে তারা কারখানা চত্বরে নজর রাখে। ধীমান বলেন, “দুষ্কৃতীদের মুখ ঢাকা ছিল। লুটপাট চালানোর পরে, দুষ্কৃতীর দলটি আমাদের কারখানার স্টোররুমে আটকে রেখে পালিয়ে যায়।” তাঁর দাবি, পরে বন্দুক ও তাঁদের মোবাইলগুলি কারখানার ভিতরে ছুড়ে দিয়ে তারা। জগাই ঘোষ নামে আর এক রক্ষী বলেন, “দুষ্কৃতীরা চলে গেলে, আমরা কোনও রকমে দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এসে পুলিশ ও কর্তৃপক্ষকে ফোন করি।”

কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, একটি জেনারেটর, তিনটি মোটর, ওয়েল্ডিং ও ড্রিল মেশিন নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। জলের কল, পাইপলাইনও নষ্ট করে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কারখানার কেয়ারটেকার প্রদীপকুমার মণ্ডল বলেন, “কাঁকসা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। লক্ষাধিক টাকার মতো সামগ্রী চুরি হয়েছে।” এসিপি (কাঁকসা) সুমনকুমার জয়সওয়াল বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” নিজস্ব সংবাদদাতা

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kanksa

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy