সালানপুরের এই স্কুল নিয়েই সমস্যা। নিজস্ব চিত্র
স্কুলটি বছর আটেক আগে সরকারি পুরস্কার পেয়েছিল। লাগোয়া এলাকার জল সরবরাহের পাইপলাইন গিয়েছে এই স্কুলের সীমানা পাঁচিল ঘেঁষেই। কিন্তু সালানপুরের আল্লাডি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ই নির্জলা! পানীয় জলের ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যায় পড়ছেন শিক্ষক থেকে পড়ুয়া, সকলেই। সমস্যা হচ্ছে মিড-ডে মিল রান্না করতে গিয়েও।
চিত্তরঞ্জন শিক্ষাচক্রের মধ্যে থাকা, ১৯৪৬-এ তৈরি এই স্কুলটিতে আশপাশের প্রায় ১২টি গ্রামের পড়ুয়ারা পড়াশোনা করে। ২০১৫-য় এই স্কুলটি রাজ্যের থেকে ‘নির্মল বিদ্যালয়’ পুরস্কার পেয়েছিল। অথচ, এই স্কুলের পড়ুয়ারাই জানাচ্ছে, সব সময় জলের বোতল রাখতে হয়। পঞ্চম শ্রেণির এক পড়ুয়া বলে, “তেষ্টা মেটাতে বইপত্রের সঙ্গে জলের বোতল আনতেই হয়। কারণ স্কুলে জল নেই।” অভিযোগ, মিড-ডে মিল রান্নার জন্য প্রায় এক কিলোমিটার পথ হেঁটে জল বয়ে আনতে হয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের। তাঁদেরই এক জন অনিতা পাল বলেন, “অত দূর থেকে জল আনতে খুবই কষ্ট হয়। স্কুলে জলের ব্যবস্থা করা দরকার।”
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক (টিচার ইনচার্জ) মিহির দাস জানান, এই স্কুলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ২১৬ জন পড়ুয়া রয়েছে। ছ’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। মিহির জানান, স্কুলে আগে একটি ‘টাইম কল’ ছিল। কিন্তু বছর দুয়েক ধরে তা থেকে জল পড়ে না। দু’টি চাপাকলও বসানো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলি থেকেও জল পাওয়া যায় না। স্কুলের চৌহদ্দির মধ্যে একটি কুয়ো থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেটি আবর্জনায় পূর্ণ। মিহির বলেন, “আমরা সবাই খুবই জল সঙ্কটে ভুগছি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন, শিক্ষা দফতর এবং জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েছি। গ্রীষ্মে ভয়াবহ অবস্থাহতে পারে।”
তবে বিষয়টি নিয়ে চিত্তরঞ্জন শিক্ষাচক্রের স্কুল পরিদর্শক পাপিয়া মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।” ঘটনা হল, ২০২৪-এর মধ্যে সালানপুরের প্রতিটি বাড়িতে জল-সংযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি। কিন্তু স্কুলের এই অবস্থা কেন? সালানপুর থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (কুটির শিল্প ও বিদ্যুৎ) মহম্মদ আরমানের আশ্বাস, “ওই স্কুলটি-সহ এলাকার স্কুলগুলিতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে জলের সংযোগ দেওয়া হবে।” কিন্তু কবে আসবে জল, সেটাই এখন প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy