Advertisement
E-Paper

‘দিদির দূতের’ কাছে স্কুল সংস্কারের আর্জি

শুক্রবার ‘দিদির দূত’, তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান উজ্জল চট্টোপাধ্যায়কে কাছে পেয়ে প্রধান শিক্ষক-সহ স্কুলের সবাই এক জোট হয়ে স্কুল ভবন সংস্কারের আর্জি জানালেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৩৯
 এমনই হাল স্কুল ভবনের। কাঁকসায়। নিজস্ব চিত্র

এমনই হাল স্কুল ভবনের। কাঁকসায়। নিজস্ব চিত্র

প্রায় ৮৭ বছরের পুরনো স্কুল। কালের প্রভাবে ক্ষয় ধরেছে। মাথার উপর থেকে খসে পড়ে চাঙড়। বিভিন্ন জায়গা স্যাঁতসেঁতে। প্রশাসনের কাছে দরবার করেও তেমন ফল হয়নি বলে অভিযোগ। শুক্রবার ‘দিদির দূত’, তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান উজ্জল চট্টোপাধ্যায়কে কাছে পেয়ে প্রধান শিক্ষক-সহ স্কুলের সবাই এক জোট হয়ে স্কুল ভবন সংস্কারের আর্জি জানালেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন স্কুলের শিক্ষক তথা প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কও। শুক্রবার কাঁকসা হাইস্কুলের ঘটনা।

প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল নন্দী জানান, স্কুলের যাত্রা শুরু হয় ১৯৩৬ সালে। তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০১৪-য়। তিনি বলেন, “বহু পুরনো স্কুল। স্বাভাবিক ভাবেই স্কুল ভবনের সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে। আমূল সংস্কার দরকার। তা না হলে যে কোনও দিন অঘটন ঘটতে পারে।” স্কুলে গিয়েও দেখা গিয়েছে, ক্লাসঘর, বারান্দা-সহ নানা জায়গায় ছাদ থেকে চাঙড় খসে পড়ার চিহ্ন রয়েছে। দেওয়ালেও ফাটল ধরেছে। রং উঠে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।

মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত দলীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ‘দিদির দূত’ হয়ে এ দিন উজ্বল ওই স্কুলে যান। তাঁকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, “স্কুল ভবনের সংস্কারের জন্য আমরা বহু জায়গায় দরবার করেছি। কিছুই হয়নি। আপনি যদি এই কাজ করার ব্যবস্থা করে দেন, খুব ভাল হয়।” তিনি দাবি করেন, পরিস্থিতি এমনই যে স্কুলের একাংশকে বিপজ্জনক বলে পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হচ্ছে। স্কুলের মাঠ সংস্কারেরও আর্জি জানান তিনি। স্কুলের শিক্ষক তথা প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “স্কুলের ভবনের সংস্কার জরুরি। এ ছাড়া, আদিবাসী হস্টেলের অস্থায়ী শিক্ষকদের বেতন অনিয়মিত।”

খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, ২০০১-এ ওই স্কুলে গড়ে ওঠে ‘বীরশা মুন্ডা তফশিল জাতি ও আদিবাসী আশ্রম ছাত্রাবাস’। উদ্বোধন করেন তৎকালীন মন্ত্রী উপেন কিস্কু। হস্টেলে প্রায় ৪০ জন পড়ুয়া থাকার সুযোগ পায়। থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থার পাশাপাশি পড়াশোনা দেখিয়ে দেওয়ার জন্য পাঁচ জন অস্থায়ী শিক্ষক রয়েছেন, যাঁরা মাসে তিন হাজার টাকা করে বেতন পান। হস্টেল সুপার দারা সিকো বলেন, “হস্টেলের বরাদ্দ খুব অনিয়মিত। খাওয়ার ব্যবস্থা কোনও রকমে হয়ে যায়। কিন্তু শিক্ষকেরা বেতন না পাওয়ায় সমস্যা বাড়ছে।”

এ দিকে, প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ) পক্ষ থেকে প্রায় ছ’লক্ষ টাকা ব্যয়ে এক বার স্কুল ভবনের সংস্কার করা হয়েছিল। কিছু দিন আগে এডিডিএ-র পক্ষ থেকে একশোটি বেঞ্চ দেওয়া হয়। স্কুল ভবনের সংস্কার চেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে পাঠানো লিখিত আর্জি সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। উজ্জ্বল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন।

পাশাপাশি, ‘দিদির দূত’ হিসেবে পাণ্ডবেশ্বরের বহুলা পঞ্চায়েতে আাসনাসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্‌হা, অন্ডাল গ্রামে জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুভদ্রা বাউড়ি, দেন্দুয়া পঞ্চায়েত এলাকায় বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় খোঁজখবর করেন।

school Kanksa
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy