E-Paper

পাঁচ বছর আগে লাইন হলেও জল মেলে না গ্রামে

কমলনগরের জলপ্রকল্প থেকে ভাগীরথীর জল দূষণ মুক্ত করে পাইপলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন মৌজায় পাঠানো হয়।

কেদারনাথ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫ ০৮:৩০
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রায় পাঁচ বছর আগে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জলের সংযোগ প্রত্যেক বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পূর্বস্থলী ২ ব্লকের মেড়তলা পঞ্চায়েতের বেশির ভাগ বাড়িতেই জল যায় না বলে অভিযোগ। কিছু কিছু এলাকায় জল গেলেও একটি বোতল ভরতেই দীর্ঘ সময় লেগে যায়। গরম কালে রীতিমতো জলকষ্ট তৈরি হয় বলে ক্ষোভ এলাকাবাসীর।

কমলনগরের জলপ্রকল্প থেকে ভাগীরথীর জল দূষণ মুক্ত করে পাইপলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন মৌজায় পাঠানো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ও মধ্য সাজিয়ারাতে এই প্রকল্পের জল মিললেও, মেড়তলা বাজারপাড়া, সমাদ্দারপাড়া, গোসায়পাড়া, মাতলাপাড়া, বারুইপাড়া, হাইস্কুলপাড়া, চণ্ডীপুর ও কুঠুরিয়ার একাংশে পানীয় জল পাওয়া যায় না। কামারডাঙা মোড়ে জলপ্রবাহ কিছুটা ভাল হওয়ায়, বহু বাসিন্দা কয়েক কিলোমিটার দূরে সেখানে গিয়ে জল সংগ্রহ করেন।

বাসিন্দাদের দাবি, বছর পাঁচেক আগে বসানো পাইপলাইনের অনেক অংশ নষ্ট হতে বসেছে। মরচে পড়েছে বেশ কিছু যন্ত্রাংশে। এক সময় এলাকায় পানীয় জলের প্রচুর নলকূপ থাকলেও বর্তমানে অধিকাংশই অকেজো। অভিযোগ, সেগুলি মেরামতের কোনও উদ্যোগ করেনি পঞ্চায়েত। তিন বছর আগে পঞ্চায়েত ভবনের কাছে একটি পরিশ্রুত পানীয় জলের প্রকল্প তৈরি হয়। কিন্তু সেটিও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না বলে নিয়মিত জল পাওয়া যায় না।

এলাকার বাসিন্দা সমীর দাস, রতন দত্ত, পিন্টু সূত্রধরেরা জানান, গ্রীষ্মকালে জলকষ্ট ব্যাপক আকার নেয়। বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল না মেলায় বাধ্য হয়ে ১৫-২০ টাকা দরে জলের জার কিনে পরিবারের তেষ্টা মেটাতে হয়। দীর্ঘ দিন ধরে সমস্যার সমাধান চেয়ে নানা জায়গায় আবেদন করেও কোনও লাভ হয়নি। ইতিমধ্যে গরম পড়তে শুরু করেছে। ফলে পানীয় জল নিয়ে চিন্তা বাড়ছে তাঁদের।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সমস্যা সমাধানে মেড়তলায় একটি রিজার্ভার তৈরির প্রয়োজন ছিল। তা দ্রুত তৈরি করে চালু করা হবে। পাশাপাশি, জনস্বাস্থ্য কারিগরিক পাইপলাইন যাতে ফেটে না যায় তার জন্য একটি কালভার্টও তৈরি করা হবে।” প্রধান সন্তোষী দাস বলেন, “চণ্ডীপুর এলাকায় তৈরি রিজার্ভারটি হচ্ছে। এই বছর চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে জলসঙ্কট দূর হয়।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Purbasthali

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy