মাত্র মাস ছয়েক আগে স্ত্রীর গলাকাটা দেহ মিলেছিল ঘর থেকে। এ বার গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হলেন স্বামী। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। আসানসোলের রেল আবাসনে রেলকর্মী প্রদীপ চৌধুরীর মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্ত্রী সঞ্চিতা চৌধুরী খুন হওয়ার পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন প্রদীপ। এ বার তাঁরই অস্বাভাবিক মৃত্যু! রবিবার সন্ধ্যায় প্রদীপের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয় চিত্তরঞ্জন শহরের নর্থ এলাকার ২৫বি কোয়াটার্স থেকে। ওই বাড়িতে প্রদীপ এবং তাঁর পুত্র দেবদিত্য থাকতেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুপুরের পর দেবদিত্য বাইরে বেরিয়েছিলেন। সন্ধ্যা নাগাদ তিনি ফিরে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। দীর্ঘ ক্ষণ ডাকাডাকির পরেও কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে পড়শিদের ডাকেন ছেলে। তাঁরা আসার পর দরজা ভাঙা হয়। তার পরেই উদ্ধার হয় প্রদীপের দেহ।
প্রশ্ন উঠছে, প্রদীপ আত্মহত্যা করেছেন না কি স্ত্রীর মতো তাঁকেও খুন করা হয়েছে। যদিও ময়নাতদন্তের আগে তা স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয় বলেই জানাচ্ছে পুলিশ। ডিসিপি পশ্চিম সন্দীপ কররা বলেন, ‘‘আত্মহত্যা না খুন, পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। মাস কয়েক আগে এই আবাসনেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ওঁর স্ত্রী।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ঘর থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার হয়েছে।