বিতর্ক এখানেই। নিজস্ব চিত্র।
দেশাত্মবোধক গানের তালে-তালে উল্টো ভাবে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে নৃত্যানুষ্ঠান চলছে। সোমবার ‘নারী দিবস’ উপলক্ষে মহিলা তৃণমূলের একটি অনুষ্ঠানে এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে, এমনই অভিযোগ বিজেপির। তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, কী ভাবে ‘ভুল’ হল, তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
ওই দিন আসানসোলের সিটি বাসস্ট্যান্ডে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। বিজেপির অভিযোগ, সেখানেই জাতীয় পতাকা উল্টো ভাবে (সবুজ রংটি উপরে রেখে) ধরে নাচতে দেখা যায় কয়েকজনকে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত কয়েকজন এতে আপত্তি জানালেও লাভ হয়নি বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিজেপির মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী পাপিয়া পাল বলেন, ‘‘এই ঘটনাকে আমরা জাতীয় পতাকার অবমাননা হিসেবেই দেখছি। যাঁরা এই কাজ করেছেন, তাঁদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া দরকার। তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর উপস্থিতিতে ওই অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। সে কথা লিখিত ভাবে দেশের রাষ্ট্রপতির রামনাথ কোবিন্দের কাছে জানাব আমরা।’’
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী আলপনা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। আমাদের কোনও দোষ নেই। তবে ভুল কী ভাবে হল, সে বিষয়ে খোঁজ করে পদক্ষেপও
করা হয়েছে।’’
কিন্তু কী ভাবে ঘটল এই ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’? আলপনাদেবীর দাবি, ওই দিন অনুষ্ঠান শেষে সাউন্ড বক্সে দেশাত্মবোধক গান বাজানো হচ্ছিল। তখন তাঁর ‘অপরিচিত’ এক মহিলা নিজের দুই মেয়েকে এনে ওই গানের সঙ্গে জাতীয় পতাকা হাতে নাচের অনুষ্ঠান করার আবেদন করেন। তাঁকে অনুষ্ঠানের জন্য ‘অনুমতি’-ও দেন নেতৃত্ব। তবে তাঁদের হাতে জাতীয় পতাকা যে উল্টো ভাবে ধরা ছিল, তা তিনি দেখেননি বলে দাবি আলপনাদেবীর।
ঘটনাচক্রে, এমন ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর রাজ্যে এই প্রথম নয়। চলতি বছরে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বীরভূমের রামপুরহাটে দলীয় কার্যালয়ে উল্টো করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। তবে তিনি তা দেখে, দ্রুত পতাকাটি সোজা করে লাগিয়ে দিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তখন কটাক্ষ করেছিল
তৃণমূল শিবির।
বিজেপি জানিয়েছে, তৃণমূলের অনুষ্ঠানের ঘটনাটি নিয়ে বাড়ি-বাড়ি প্রচার করা হবে। দলের জেলা সহ-সভাপতি প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তৃণমূলের দেশভক্তির দাবি যে শুধুই মুখের প্রচার— এটা আমরা জনসমক্ষে তুলে ধরব।’’ তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন অবশ্য বলেন, ‘‘এটা ভুল। এই ভুল বিজেপিও করেছিল। ওদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই যা ইচ্ছে প্রচার করে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে ওরা। তবে
আমরাও প্রস্তুত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy