Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Student

আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ধৃত ছাত্র-সহ ২

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক নয়ন দে ওরফে কালু অমরাবতী এলাকায় ভাড়া থাকে। তার গতিবিধি নিয়ে সন্দেহের কথা এলাকা থেকে কয়েকজন জানিয়েছিলেন।

— প্রতীকী ছবি

— প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৯ ০৪:৩০
Share: Save:

আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার হল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্র-সহ দুই যুবক। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুরের অমরাবতী এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়। ধৃতদের কাছে ২২ ইঞ্চি লম্বা একটি আধুনিক দেশি পাইপগান ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেন, ‘‘কী ভাবে তাদের কাছে এই আগ্নেয়াস্ত্র এল, আর কেউ এর পিছনে জড়িত কি না, তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক নয়ন দে ওরফে কালু অমরাবতী এলাকায় ভাড়া থাকে। তার গতিবিধি নিয়ে সন্দেহের কথা এলাকা থেকে কয়েকজন জানিয়েছিলেন। অভিযোগ, মাঝে-মাঝে রাতে বাইরে থেকে লোকজন তার কাছে আসে। মঙ্গলবার রাতে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। নয়ন ছাড়াও পাকড়াও হয় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ‘অ্যাপ্লায়েড ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনস্ট্রুমেন্টেশন’ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ওই ছাত্র।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রের বাড়ি বর্ধমানে। সে এমএএমসি বি-১ এলাকায় ভাড়া থাকে। নয়নের সঙ্গে তার কী ভাবে যোগাযোগ হল, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানায়। নয়ন কত দিন ধরে ওই এলাকায় থাকছিল, তার পেশা কী, প্রতিবেশীদের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়েও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তদন্তকারীরা। দু’জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার দুর্গাপুর আদালতে হাজির করানো হলে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ধৃতেরা বেআইনি অস্ত্র কারবারের সঙ্গে জড়িত কি না, তা দেখা হচ্ছে। কোনও চক্র থাকলে সেই দলে আর কে আছে, দলের পাণ্ডা কে—দু’জনকে জেরা করে তা জানার চেষ্টা হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এলাকায় ছাঁট লোহার কিছু কারবারি রয়েছে। তার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কি না, তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

ধৃত ছাত্রের বাবা অবশ্য ছেলে বেআইনি কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত বলে মানতে চাননি। তিনি জানান, বর্ধমানে তাঁদের ব্যবসা রয়েছে। ছেলে বরাবরই মেধাবী পড়ুয়া। দুর্গাপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে মায়ের সঙ্গে থাকে। তাঁর দাবি, চায়ের দোকানে নয়নের সঙ্গে ছেলের আলাপ হয়েছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নয়নকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে জেনে সে থানায় খোঁজ নিতে যায়। তখনই তাকে পুলিশ প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করে বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মিথ্যা অভিযোগে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। অর্থের তো কোনও অভাব নেই ওর। ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে দুশ্চিন্তায় পড়েছি আমরা।’’

পুলিশ অবশ্য ছাত্রের বাবার দাবি মানতে চায়নি। কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ঘটনাস্থল থেকেই ধরা হয়েছে দু’জনকে।’’ ওই ছাত্রের জন্য কোনও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে কি না, সে প্রশ্নে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আপাতত গোটা ঘটনা বুঝতে জেরা করা হবে। তার পরে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Student Durgapur Arms Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE