থানায় ছাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র
বছর খানেক ধরে এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়া ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল বর্ধমান শহরের এক সঙ্গীত শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শনিবার ওই ছাত্রীর মা বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমান শহরের হরিসভা বিদ্যালয়েরও চুক্তিভিত্তিক সঙ্গীত শিক্ষক। ওই স্কুলের বেশ কয়েকজন ছাত্রীও তাঁর বিরুদ্ধে মোবাইলে অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষিকার কাছে। যদিও অভিযোগ মানেননি অভিযুক্ত।
অভিযোগকারিনী জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলাবতী মিউজিক অ্যাকাডেমিতে গান শিখতে যেত তাঁর মেয়ে। অভিযোগ, মোবাইলে মেসেজ করে তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন ওই শিক্ষক। বছরখানেক আগে মেয়েকে গানের স্কুলে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয় বলেও তাঁর দাবি। ওই দিন কোনও রকমে পালায় ওই ছাত্রী। এরপরেই সে বাড়িতে জানায় পুরো বিষয়টি। ওই গানের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ওই মেয়েটি হরিসভা স্কুলেরই পড়ুয়া হওয়ায় ওই শিক্ষকের সঙ্গে স্কুলে দেখা হতো। অভিযোগ, কয়েকদিন আগে স্কুলে গেলে ফের তাকে হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতেই জানা যায়, শুধু ওই ছাত্রী নয় আরও অনেককেই অশ্লীল মেসেজ করেছেন ওই শিক্ষক। এরপরেই অভিযোগকারিণী ও অন্য অভিভাবকেরা মিলে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কাছে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানান। শনিবার তাঁরা দল বেঁধে বর্ধমান থানায় এসে অভিযুক্ত শিক্ষকের নামে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিভাবকদের দাবি, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে ছোট মেয়েদের সঙ্গে এমন আচরণ করছেন ওই শিক্ষক। আমরা বিষয়টি জেনে সবাইকে নিয়ে অভিযোগ করলাম। আমরা চাই অভিযুক্তের কড়া শাস্তি হোক।’’ ওই শিক্ষক যাতে আর কোনও মেয়েদের স্কুলের শিক্ষকতা না করতে পারেন সেই দাবিও করেন অভিভাবকেরা। হরিসভা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কেকা লস্কর বলেন, ‘‘আমি অভিযোগ পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। তাদের নির্দেশ মতো ওই শিক্ষককে শো-কজ করা হবে। স্কুল পরিদর্শকের নির্দেশে তাঁকে আপাতত স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।’’
অভিযুক্ত শিক্ষক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, ‘‘এখন কিছু বলব না, ছাত্রীরা অভিযোগ করুক। সময় এলে উত্তর দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy