Advertisement
E-Paper

দৃষ্টিহীন শিক্ষকের অদম্য জেদ এবং সহনশীলতার নতুন গাথা লিখে চলেছেন বড়শুলের সুব্রত মালাকার

সকাল ১০টা নাগাদ ওয়াকিং স্টিক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন স্কুলের উদ্দেশে। কিন্তু স্কুল প্রাঙ্গণে একবার প্রবেশ করলেই তখন চেনা জায়গা।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৫১
ক্লাস নিচ্ছেন  সুব্রত মালাকার।

ক্লাস নিচ্ছেন সুব্রত মালাকার। নিজস্ব চিত্র।

জন্ম থেকে তিনি দৃষ্টিহীন, কিন্তু এই প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে নিজের জীবনে সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি। পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের বাসিন্দা সুব্রত মালাকার। ২০১২ সালে সেখানকার অন্নদাপল্লী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন।

সকাল ১০টা নাগাদ ওয়াকিং স্টিক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন স্কুলের উদ্দেশে। কিন্তু স্কুল প্রাঙ্গণে একবার প্রবেশ করলেই তখন চেনা জায়গা। ওয়াকিং স্টিক ছাড়াই নির্দ্বিধায় ঘুরে ফিরে বেড়ান তিনি। সে শ্রেণিকক্ষের তালা খোলা হোক বা ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান, তখন তাঁকে দেখে বোঝা দায় যে, তিনি দৃষ্টিহীন। তালে তাল মিলিয়ে কাজ করে চলেছেন তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে।

সমগ্র পৃথিবীটা তাঁর সামনে অন্ধকার হলেও তাঁর দেখানো আলোয় একটু একটু করে এগিয়ে চলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁরাও স্যরকে অত্যন্ত স্নেহ করেন। তাঁর শিক্ষাদানের পদ্ধতি বেশ ভাললাগে তাদের।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাহিল মল্লিক জানান, সুব্রত বিশেষ ভাবে সক্ষম হলেও, তাঁর সহকর্মীদের কখনও সেটি মনে হয়নি, বরং তাঁদের অনুপ্রেরণা জোগান তিনি। তাঁকে নিয়ে গোটা স্কুল গর্ববোধ করে।

১৩ বছর ধরে প্রতিবন্ধকতার পরোয়া না করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন সুব্রত। সমাজে অশিক্ষার অন্ধকার দূর করতে হাতে তুলে নিয়েছেন চক এবং ডাস্টার।

Bardhaman Teachers Day
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy