সাপে কাটলে ওঝা নয়, যান ডাক্তারের কাছে— সাপের খেলা দেখতে মেলায় আসা লোকজনকে এমনই বোঝাচ্ছেন মেলার উদ্যোক্তারা। উদ্যোগে সামিল হয়েছেন কয়েকজন ওঝাও। পূর্ব বর্ধমানের রায়নার ঝাপান মেলায় দেওয়া হচ্ছে সচেতনতার এই বার্তা।
রায়নার গোপালপুরে মনসা পুজো উপলক্ষে প্রায় সত্তর বছর ধরে বসছে এই মেলা। দুই বর্ধমান ছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভূম থেকে ওঝারা সাপ নিয়ে খেলা দেখাতে আসেন সেখানে। তাঁরা জানান, কয়েক বছর ধরেই মেলার উদ্যোক্তারা তাঁদের বুঝিয়েছেন, হাসপাতাল-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেলে সাপের বিষের প্রতিষেধক। তবু বছর-বছর সাপের ছোবলে মৃত্যু হয় অনেকের। ডাক্তারদের বক্তব্য, সংস্কারের বশে লোকে আক্রান্তকে নিয়ে আগে ওঝার কাছে যায়। পরে ওঝা কিছু করে উঠতে না পারলে হাসপাতাল-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছোটে। এই ছবি পাল্টাতেই তাঁরা চেষ্টা করছেন।
কিছু দিন আগে রায়নার গোতানে এক সাপে কাটা শিশুকে শ্যামলী ওঝার কাছে নিয়ে যান বাড়ির লোকজন। তিনি পত্রপাঠ হাসপাতালে পাঠান। বেঁচে যায় শিশুটি। শ্যামলী বলেন, ‘‘মন্ত্র পড়ে আমার আয় হতে পারে। রোগীর জীবন বাঁচবে সাপের ওষুধ পড়লে।’’ সায় দেন রতন। বলেন, ‘‘আমরা সাপের খেলা দেখিয়েও রোজগার করতে পারি। কিন্তু সাপে কাটা রোগীর জীবন বাঁচে ঠিক চিকিৎসায়।’’