Advertisement
১১ মে ২০২৪
Swasthya Sathi

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা দেওয়া হয়নি, অভিযোগ

বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ মানতে চাননি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বর্ধমান শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২১ ০৬:৪৪
Share: Save:

‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের ‘হেল্প ডেস্ক’ বলছে, কার্ড সচল। অথচ, সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতাল কার্ড সচল নয়, দাবি করে প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর পর্যন্ত অভিযোগ করেছেন সাতগাছিয়া চক্রের চকবলরামপুর প্রাথমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক সফিকুল ইসলাম। প্রমাণ হিসেবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, ওই হাসপাতালের বিল ও অন্য নথিও জমা দিয়েছেন তিনি। যদিও ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ মানতে চাননি। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ই-মেলে অভিযোগ পাওয়া গেলে সেটি রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের কাছে পাঠানো হবে।

ওই শিক্ষক জানিয়েছেন, তাঁর মা জাহানারা বেগম কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত। তাঁর চিকিৎসার জন্য ২৫ জুন সল্টলেকের (‌সেক্টর ২) একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। ভর্তিও করা হয়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ভর্তির (শয্যা নম্বর ১০১৪, রেজিস্ট্রেশন নম্বর: ৭১২) পরের দিন অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কোনও সুবিধা পাইনি। ৫৫ হাজারেরও বেশি টাকা নগদ খরচ করতে হয়েছে।’’ পাঁচ দিন চিকিৎসার পরে, জাহানারা বেগমকে মঙ্গলবার কালনার বাঘনাপাড়ার বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি।

জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে লেখা চিঠিতে তাঁর অভিযোগ, ওই হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা রয়েছে জেনেই মাকে ভর্তি করান। কিন্তু বিল হওয়ার পরে জানানো হয়, কার্ডটি (কার্ড নম্বর: ১৯৭৬০৯৯৭০৪৭৮৯৪৫৯৬) সচল নয়। এর পরেই তিনি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের হেল্প ডেস্কে যোগাযোগ করেন। তাঁর দাবি, সেখান থেকে জানানো হয়, কার্ডটি সচল রয়েছে এবং তাঁর মায়ের নাম রয়েছে। স্বাস্থ্যসাথীর পোর্টালে গিয়েও তিনি সেটাই দেখেন। ওই শিক্ষকের অভিযোগ, ‘‘আমি ফের ওই হাসপাতালের স্বাস্থ্যসাথী বিভাগে যোগাযোগ করি। আমাকে বলা হয়, ‘আমাদের যন্ত্র কার্ডটি সচল রয়েছে না জানালে, কিছু করার নেই’। আমার আর কিছু করার ছিল না। নগদ টাকা দিয়েই চিকিৎসা করাতে হয়।’’

ওই হাসপাতালের স্বাস্থ্যসাথী বিভাগের কর্ত্রী জলি রায়ের দাবি, ‘‘আমাদের এখানে স্পষ্ট করে লেখা আছে, স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু উনি আমাদের কাছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড জমা দেননি।’’

প্রাথমিক শিক্ষকদের একটি সংগঠনের নেতা রাজীব দত্তের দাবি, ‘‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকতে কেন নগদ টাকা দিতে হবে? মানুষের সঙ্গে প্রতারণা, হয়রানি করা হচ্ছে এ সব করে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Swasthya Sathi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE