Advertisement
E-Paper

মানুষের ঢল বেনাচিতিতে

এ দিন সকাল থেকেই বেনাচিতি বাজারে মানুষের ঢল নামে। পুলিশি কড়াকড়িতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বেশির ভাগকেই ‘মাস্ক’ পরে থাকতে দেখা গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২০ ০২:৫৯
ভিড়: রবিবার, দুপুর সাড়ে ১২টা। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এমনই হাল বেনাচিতি বাজারে। ছবি: বিকাশ মশান

ভিড়: রবিবার, দুপুর সাড়ে ১২টা। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এমনই হাল বেনাচিতি বাজারে। ছবি: বিকাশ মশান

সপ্তাহে দু’দিন করে ‘লকডাউন’ হচ্ছে রাজ্যে। বিধিভঙ্গের অভিযোগে পুলিশ ধরপাকড় চালাচ্ছে। প্রশাসন প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু তার পরেও রবিবার দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে দেখা গেল, দূরত্ববিধি মানা হচ্ছে না। বাজারের পাশাপাশি, রাস্তায় যানজটও হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যত নাভিশ্বাস উঠতে দেখা গিয়েছে পুলিশের।

এ দিন সকাল থেকেই বেনাচিতি বাজারে মানুষের ঢল নামে। পুলিশি কড়াকড়িতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বেশির ভাগকেই ‘মাস্ক’ পরে থাকতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু দূরত্ববিধি বজায় ছিল না বলে অভিযোগ। আনাজ, মাছের বাজার সর্বত্র একই ছবি দেখা যায়। পুলিশ যথাসাধ্য চেষ্টা করলেও পরিস্থিতির খুব একটা বদল হয়নি বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, বেনাচিতি বাজারের প্রধান সড়কের বিভিন্ন মোড়ে দুপুর পর্যন্ত যানজটও দেখা যায়। তবে, প্রশাসনের নির্দেশ মেনে দুপুর ১টার পরে দোকান-বাজার বন্ধ হওয়ার পরে পরিস্থিতি বদলায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্রেতারা বলেন, ‘‘সোমবার বেনাচিতি বাজার বন্ধ। বুধবারে ফের লকডাউন। মঙ্গলবার যদি কোনও ভাবে বাজারে না আসা যায় অথবা সেদিনও যদি লকডাউন ঘোষণা হয়ে যায়, তাই ভিড় হবে জেনেও বাজারে এসেছি।’’ এই পরিস্থিতিতে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেন, ‘‘ধরপাকড় চলছে। যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।’’

এ দিকে, ক্রেতাদের একাংশের অভিযোগ, বাজারে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে রবিবার দুর্গাপুর স্টেশন লাগোয়া হাটতলা বাজারে আনাজের দাম পরীক্ষা করার জন্য ক্রেতা সেজে পরিদর্শন করেন দুর্গাপুর পুরসভার ৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কয়েকটি আনাজপাতির দোকানে যান বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখরবাবু। তিনি জানান, আলুর বাজার দর নিয়ে সমস্যা রয়েছে। বিক্রেতাদের একাংশের দাবি, আড়তদারেরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। যদিও আড়তদারদের একাংশ দাবি করেছেন, হিমঘর থেকেই বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে। তবে চন্দ্রশেখরবাবু এ দিন পরিদর্শন শেষে বলেন, ‘‘বিষয়টি প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানানো হবে। সরকার নির্ধারিত দামের থেকে বেশি দর নেওয়া যাবে না।’’

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy