Advertisement
E-Paper

দেহ নিখোঁজ কিশোরের, থানা ঘেরাও

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ ডিসেম্বর সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি জামুড়িয়া পেট্রোল পাম্প এলাকার বাসিন্দা জাফর। পড়াশোনার পাশাপাশি সংসারে সাহায্য করতে সে স্থানীয় একটি গ্যরাজেও কাজ করত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:১৯
শোকার্ত জাফরের (ইনসেটে) পরিজন। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ

শোকার্ত জাফরের (ইনসেটে) পরিজন। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ

টানা দশ দিন ধরে নিখোঁজ থাকা এক কিশোরের পচাগলা দেহ উদ্ধার হল ঝোপ থেকে। দেহ থেকে মাথা ও হাত আলাদা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাটি জামুড়িয়া থানা এলাকার। জাফর আনসারি (১৪) নামে ওই কিশোরকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবার ও এলাকাবাসীর।

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ ডিসেম্বর সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি জামুড়িয়া পেট্রোল পাম্প এলাকার বাসিন্দা জাফর। পড়াশোনার পাশাপাশি সংসারে সাহায্য করতে সে স্থানীয় একটি গ্যরাজেও কাজ করত। পুলিশ সূত্রে খবর, জামুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির পড়ুয়া জাফরের দেহ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাওয়া যায় জামুড়িয়া রেল লাইনের অদূরে ব্রহ্মস্থানের কাছে ঝোপের পাশ থেকে। দেহ উদ্ধারের পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দোষীদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের সঙ্গে প্রথমে বচসা পরে ধস্তাধস্তি হয় বিক্ষোভকারীদের। এলাকাবাসীর বক্তব্য, দোষীদের গ্রেফতারের আগে মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠাতে দেওয়া হবে না। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রাত ৮টা নাগাদ মিছিলের আয়োজন করেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন। পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে আরও পুলিশ বাহিনী নামানো হয়। তখনকার মতো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।

বুধবার ফের পথে নামেন ওই কিশোরের পড়শি, আত্মীয়পরিজন থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। জোট বেঁধে তাঁরা জামুড়িয়াবাজার, সব স্কুল ও বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। সকাল ৮টা থেকে জামুড়িয়া সিনেমা হল মোড়ে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। সেখানে পুলিশের সামনে আসানসোল ১ নম্বর বরো চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সানদার বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে পথ অবরোধ তুলতে গেলে তাঁকে হেনস্থার শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত বরো চেয়ারম্যানের আশ্বাসেই অবরোধ উঠে যায়। তবে এই ঘটনার পরে জামুড়িয়াবাজার এলাকায় র‌্যাফ মোতায়েন করে রাখা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন বিকেল ৩টে নাগাদ আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে ময়না-তদন্তের পর দেহ বাড়ি থেকে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এ দিকে, হঠাৎ বাস বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। অনেককেই বেশি ভাড়া দিয়ে ট্রেকার ও অন্য ছোট গাড়িতে করে গন্তব্যে যান।

কী বলছে পুলিশ প্রশাসন?

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটর এডিসিপি (সেন্ট্রাল) জে মার্সি বলেন, ‘‘ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগে মৃত্যুর কারণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা যাবে না। দেহটি পচে গিয়েছিল। তাই মুন্ডু ও হাত আলাদা হয়ে থাকতে পারে। পচে যাওয়ার জন্য কোনও ক্ষতচিহ্ন আছে কি না তা বোঝা যায়নি। পুলিশ সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। তদন্ত চলছে।”

Boy Protests
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy