Advertisement
১৯ মার্চ ২০২৪

চাকরির নামে বহু প্রতারণা, ধৃত তিন

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার একপাহারিয়ার বছর তেইশের যুবক আসরাফ মল্লিক অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল রাজুরে মামারবাড়ি ঘুরতে গিয়ে আরিফুল ইসলাম নামে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৯ ০০:১২
Share: Save:

কাউকে এয়ারপোর্টে, কাউকে পুলিশে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগে এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, কেতুগ্রাম-সহ মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের বেশ কিছু এলাকার লোকজনকে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়েছে এই দল।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার একপাহারিয়ার বছর তেইশের যুবক আসরাফ মল্লিক অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল রাজুরে মামারবাড়ি ঘুরতে গিয়ে আরিফুল ইসলাম নামে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। অভিযোগ, স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে পাঠরত আসরাফকে এয়ারপোর্টে চাকরি করিয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা নেন আরিফুল। ওই যুবক দাবি করেন, ‘‘আমার মামার পড়শি ছিল আরিফুল। সেই সূত্রেই আলাপ হয়। আমার কাছে দু’ধাপে দু’লক্ষ ১৮ হাজার ও ২৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়।’’ তিনি জানান, আরিফুলের কথামতো দিল্লির মহিপালপুরে ন’মাস গিয়ে থাকেন তিনি। সেখানে একটি বেসরকারি সংস্থায় অস্থায়ী সুপারভাইজ়ারের কাজও করেন। তবে এয়ারপোর্টে চাকরি পাননি। পরে রাজুর ও সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামের অনেকের কাছেই একই ভাবে টাকা তোলার অভিযোগ সামনে আসে। একত্রিত হয়ে অভিযোগ করেন তাঁরা।

অভিযোগ, রাজ্য সরকারের কোনও দফতরে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে রাজুরেরই বাসিন্দা আব্দুল গফরের কাছ থেকে দু’লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, একই চাকরি তাঁর ছেলেকে পাইয়ে দেওয়ার নামে কান্দরার মণিরুল হকের কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা, শ্যালককে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে খাঁজির আবুল হোসেনের কাছ থেকে দু’লক্ষ ১৫ হাজা টাকা নিয়েছেন আরিফুল। প্রতারণার অভিযোগ করেছেন খলিপুরের সুরজমল শেখ, আরগনের খোন্দেকার মইনুল হোসেনও। এ ছাড়া, কলকাতা পুলিশে চাকরির নামে বড়ঞার মজলিস গ্রামের নরুর হাসানের কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আসরাফ বলেন, ‘‘আমরা সবাই ঘটিবাটি, জমি বিক্রি করে টাকা দিয়েছিলাম। চাকরি তো পেলাম না, টাকাও দিল না।’’

এর পরেই তদন্তে নেমে পুলিশ আরিফুল ও হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা সায়ন্তন বন্দোপাধ্যায়কে ধরে পুলিশ। নিউটাউন রাজারহাট থেকে ধরা হয় পল্লবী সিংহ চৌধুরীকে। পুলিশের দাবি, জেরায় আরিফুল জানিয়েছে, ওই দু’জনকে টাকার ভাগ দিত সে। শুক্রবার ধৃতদের কাটোয়া আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত দেন বিচারক। এর সঙ্গে প্রতারণার বড় কোনও চক্র কাজ করছে কি না, তারা কী ভাবে গ্রামে গ্রামে ‘শিকার’ খুঁজত, জিজ্ঞাসাবাদে তা জানার চেষ্টা করা হবে, দাবি পুলিশের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Man Arrested Employment Cheating
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE