সহদেব ধাড়া। নিজস্ব চিত্র
এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ার পখন্না গ্রামের ওই বিজেপি কর্মী, সহদেব ধাড়াকে প্রথমে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে, তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে। ঘটনায় তাঁর স্ত্রী শিখা ধাড়া কয়েক জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ দিন হাসপাতালে শুয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে সহদেব অভিযোগ করেন, “সকালে জমির মালিকের মোটরবাইক নিয়ে জমিতে কীটনাশক স্প্রে করতে গিয়েছিলাম। সে সময়ে প্রায় চল্লিশ জন তৃণমূল কর্মী আমার উপরে হামলা চালায়। বেধড়ক মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেয়। পরে, ওরা মোটরবাইকে আগুন লাগিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যায়।” ঘটনার পরে, স্থানীয়েরা তাঁকে উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ দিন সন্ধ্যায় তাঁর স্ত্রী শিখা পুলিশে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই, এলাকার কিছু তৃণমূল কর্মী তাঁদের পরিবারের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছে। এ দিনও তাদের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে।
ঘটনার পরে, ভোট-পরবর্তী হিংসা অব্যাহত রয়েছে অভিযোগ তুলে বিজেপির যুব মোর্চার বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সোমনাথ কর দাবি করেন, “বিজেপি করার জন্যই সহদেবের উপরে আক্রমণ হয়েছে।”
যদিও বড়জোড়ার বিধায়ক তথা তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “বিজেপি বাংলায় অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে। তৃণমূলকে বদনাম করে প্রচারের আলোয় আসতে চাইছে।” তাঁর সংযোজন, “এ ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। গ্রামীণ ঝামেলাকে রাজনৈতিক রং দিয়ে দলকে বদনামের চেষ্টা চলছে। এ দিন সহদেব এক ব্যক্তিকে মারধর করে। তাই নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। পুলিশকে বলেছি, আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy